খাবারে চিনি ছাড়া খেতে পারেন না? প্রতিদিনের পাতে একটা মিষ্টি অবশ্যই চাই। জানেন কি, এতেই বাড়ছে হৃদ্রোগের ঝুঁকি? যে খাবারে বেশি চিনি, সেই খাবারেই পুষ্টি কম। টাইপ-২ ডায়াবেটিস থেকে অ্যাকনে, হৃদ্রোগ সবকিছুর পেছনেই রয়েছে চিনি, এমনটা বললে ভুল হবে না। চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার অতিরিক্ত খেলে প্রভাব পড়বে হৃদ্যন্ত্রে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বেশি চিনি খেলে হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে এমনটা নয়। কোন ধরনের চিনি খাচ্ছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
লন্ডনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, প্রচুর পরিমাণে ‘ফ্রি সুগার’ যুক্ত খাবার খেলে হৃদ্রোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এই ধরনের শর্করা পাতে যত বেশি রাখবেন, ততই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়বে।
‘ফ্রি সুগার’ যুক্ত খাবার কোনগুলি-
যখন কোনো খাবারে চিনি দেওয়া হয়, তখন তাকে ‘ফ্রি সুগার’ বলে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত ফলের রস, সিরাপ, মধুতেও ‘ফ্রি সুগার’ থাকে। তাই সাবধান। গবেষণাটি বিএমসি মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা ব্রিটেনের এক লাখ ১০ হাজার ৪৯৭ জনের রিপোর্ট সংগ্রহ করেন প্রায় ৯ বছর ধরে। গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের বয়স ৩৭ থেকে ৭৩ বছরের মধ্যে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন প্রায় ৯৫ গ্রাম ‘ফ্রি সুগার’ খান, তাদের কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের ঝুঁকি রয়েছে।
চিনি বেশি পরিমাণে শরীরে গেলে হাই অ্যাবডমিনাল ফ্যাট তৈরি হয়। ক্ষতিকারক কোলেস্টরল উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ে। যেগুলো রক্ত চলাচলে সমস্যা তৈরি করে। ব্লাড জালিকায় রক্ত জমে। শরীরে রক্ত জমাটের আশঙ্কা তৈরি করে। প্রভাব পড়ে হৃদ্যন্ত্রের কার্যকলাপে। ডায়েটে অতিরিক্ত চিনি থাকলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। হাইপারটেনশনের প্রভাব পড়ে হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক কার্যকলাপে। আগের তুলনায় দ্রুত রক্ত পাম্প করা শুরু করে হৃদ্যন্ত্র। ব্লাড ভেসেলের ক্ষতি হয়। বাড়ে স্ট্রোকের আশঙ্কা।