যথাযথ লেবার পেইন ওঠার পরও বাচ্চা ডেলিভারি না হওয়াকে অবস্ট্রাকটেড লেবার বলে। সোজা কথা, ডেলিভারি প্রসেসটা অ্যারেস্ট হয়ে যায়। বাচ্চা মরে যাবে, মায়ের জরায়ু ফেটে যাবে, মা মরে যাবেন, কিন্তু ডেলিভারি হবে না।
কেন এমন হয়?
– বাচ্চার তুলনায় জন্মপথ ছোট বা বাচ্চা বড় অথবা দুটিই
– চাপানো বা কন্ট্রাকটেড পেলভিস।
– বাচ্চা বড় হয়ে যাওয়া/ম্যাক্রো বেবি/বাচ্চার মাথা বড় হয়ে যাওয়া।
– জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের কোনো টিউমার, যা জন্মপথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
কিভাবে ডায়াগনসিস করা যায়?
সাধারণত ডেলিভারিতে ডায়াগনসিস হয়।
ডেলিভারির ব্যথা এমনিতেই বেশি হয় আর অবস্ট্রাকটেড লেবারের ব্যথার মাত্রা অকল্পনীয়! এই দুনিয়ার কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা চলে না। ব্যথায় মায়ের সারা শরীর দরদর করে ঘামতে থাকে। ঠোঁট-মুখ-জিহ্বা শুকিয়ে যায়, তাপমাত্রা বেড়ে যায়, বাচ্চার মাথা আটকিয়ে থাকতে থাকতে প্রস্রাবের থলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ক্যাপুট মানে বাচ্চার মাথায় পানি জমে। আগেই বলেছি, অনেক ক্ষেত্রে মাথার রক্তনালি ছিঁড়ে যেতে পারে।
জটিলতা কী হতে পারে?
– জরায়ু ফেটে যেতে পারে।
– বাচ্চা মারা যেতে পারে।
– মা মারা যেতে পারেন।
– বেঁচে থাকলেও ফিস্টুলা মানে প্রস্রাব, পায়খানা ঝরতে পারে।
– বাচ্চার সেরিব্রাল পালসি হতে পারে।
প্রতিকার কী?
– কন্যাসন্তানের সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করা, যাতে তার পেলভিস যথাযথ গঠিত হয়।
– প্রেগন্যান্সিতে নিয়মিত চেকআপ করা।
– হাসপাতালে ডেলিভারি করা।
চিকিৎসা
হাইরিস্ক পেশেন্টের সিজারিয়ান ডেলিভারি করা। তবে বাচ্চা মারা গেলে ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি করা যেতে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. ছাবিকুন নাহার
গর্ভবতী, প্রসূতি, স্ত্রী ও গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা