সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির জন্য প্রোটিন খুবই প্রয়োজনীয়। অনেক সময় সঠিক খাবারের অভাব বা অসুস্থতার কারণে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। যে কারণে ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা শুরু হয়। এই কারণে, চিকিৎসকরা প্রায়ই প্রোটিন- সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। আর প্রোটিনের কথা উঠলেই, ডিমের প্রসঙ্গ সবার আগে চলে আসে। আবার কোনও কোনও চিকিৎসক, এই অভাব পূরণ করতে দুধ পান করার পরামর্শ দেন।
বলা হয়, ডিমে দুধের চেয়ে বেশি প্রোটিন থাকে। একটি ৫০ গ্রামের ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে, অন্যদিকে ১০০ গ্রাম দুধে ৩ দশমিক ৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এ কারণে শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি হলে প্রতিদিন একটি থেকে দু’টি ডিম খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
আপনি যদি ডায়েট করেন এবং প্রোটিনেরও প্রয়োজন হয়, তাহলে দুধ খেতে পারেন। কিন্তু, আপনি যদি শরীর গঠন করতে চান, তাহলে ডিম খাওয়া আপনার জন্য আরও বেশি উপকারী হতে পারে।
ডিমে অনেক পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। প্রোটিনের মতো স্যাচুরেটেড ফ্যাট, মিনারেল, ভিটামিন, ক্যারোটিনয়েড এবং আয়রনও রয়েছে। এতে ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি ৬ এবং জিঙ্ক রয়েছে। একইভাবে দুধে প্রোটিন, ভিটামিন, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন কে২ রয়েছে। ডিম-দুধ দুটিই নিজ নিজ জায়গায় উপকারী। নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী,এই দুইয়ের মধ্যে একটি বেছে নিন। প্রয়োজনে দুটোই খেতে পারেন।