চোয়াল অর্থাৎ টেম্পোরো ম্যান্ডিবুলার জয়েন্ট বা গাঁটের চারপাশের একদিকে বা উভয় পাশেই ব্যথা হওয়াকে চোয়াল ব্যথা বলে। এটি ক্ষণস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
কারণ
* অনেক কারণেই চোয়ালের জয়েন্টে ব্যথা হয়।
* চোয়ালের মধ্যে সরাসরি আঘাতজনিত কারণে ব্যথা হতে পারে।
* চোয়ালে আরথ্রাইটিস
* রাতে দাঁত কামড়ানো
* সাইনাসজনিত সমস্যা
* মাড়িজনিত সমস্যা
* চোয়ালের আশপাশের স্থানে প্রদাহ
* হার্ট অ্যাটাকেও চোয়ালে ব্যথা হতে পারে।
কিভাবে চোয়ালের ব্যথার কারণ নির্ণয় করা হয়?
* রোগীর কাছ থেকে রোগের ইতিহাস নিয়ে।
* রক্ত পরীক্ষা, জয়েন্টের তরল পরীক্ষা করে।
* মূত্র পরীক্ষা, বায়োপসি করে।
* চোয়ালের জয়েন্টের এক্স-রে, পুরো চোয়ালের এক্স-রে অথবা দাঁতের সমস্যার কারণে হলে দাঁতের এক্স-রে করে।
* এ ছাড়া অত্যাধুনিক পরীক্ষা যেমন—সিটি স্ক্যান, এমআরআই, সিবিসিটি করে।
চোয়াল ব্যথার চিকিৎসা
চোয়ালের ব্যথার কারণ শনাক্ত করার পর যেসব উপায়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে—
* ব্যথা নিরাময়ের জন্য সঠিক পদ্ধতিতে ব্যয়াম করা।
* যদি সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে তাহলে সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করা।
* ব্যথার জ্বালা কমানোর জন্য অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ওষুধ সেবন করা।
* মাংসপেশির খিঁচুনি থেকে রক্ষা পাওয়ার কিছু ওষুধ সেবন করা যায়।
* যদি দাঁত ও মাড়ির সমস্যার কারণে হয়ে থাকে তাহলে রুট ক্যানেলসহ মাড়ির চিকিৎসা বা দাঁত ফেলে দিতে হয়।
* হার্টের সমস্যার কারণে চোয়ালে ব্যথা হলে হার্টের চিকিৎসা করতে হবে।
* মাউথ প্রটেক্টর ব্যথার কারণে হতে পারে।
* ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন-ডি ব্যবহার করা যায়।
কখন হওয়ার ঝুঁকি বেশি?
* মুখের যত্ন ঠিকমতো না নিলে।
* হরমোনজনিত রোগ থাকলে
* ডায়াবেটিস থাকলে
* ধূমপায়ী হলে চোয়ালের সমস্যা হতে পারে।
* সাইনোসাইটিস বা হাঁপানি রোগে আক্রান্তদের ঝুঁকি বেশি।
সার্জারি করলে চোয়াল ব্যথা পুরোপুরি সারানো যাবে। তবে সার্জারি ব্যতীত ব্যথা দূর করতে চাইলে ডেন্টিস্টের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন শক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. অনুপম পোদ্দার
অধ্যক্ষ
খুলনা ডেন্টাল কলেজ।