গড় আয়ু নারীর বেশি হওয়ার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে ধরা হয়, নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি নিয়ন্ত্রিত।
এ জন্যই নারীদের তুলনায় পুরুষ দুর্ঘটনায় বা সহিংসতায় বেশি মারা যায়। যেমনটা বলা যেতে পারে―যেকোনো বাহন চালানোর ক্ষেত্রে নারীরা ধীরস্থির হয়, ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কম থাকে।
যা পুরুষের বেলায় ভিন্ন। এমনকি জীবনযাপনে নানা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা চিন্তাভাবনা সেরে তবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যেখানে পুরুষরা অপেক্ষাকৃত হুটহাট সিদ্ধান্ত নেয়। এ ছাড়া আরো একটি কারণকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
সেটি হলো অল্প বয়সে হৃদরোগে মারা যাওয়ার হার নারীর চেয়ে পুরুষের বেশি। প্রকৃতপক্ষে পুরুষের হৃদরোগে মারা যাওয়ার আশঙ্কা নারীর তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। এর পেছনে কারণ হিসেবে ধরা হয় নারীদের তুলনায় পুরুষদের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম থাকা। এর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ বা কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়াকেও কারণ হিসেবে ধরা হয়। আরো একটি কারণকে এ সময় বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় পুরুষের আয়ু কম হওয়ার পেছনে।
সেটি হচ্ছে―পুরুষরা সামাজিকভাবে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ কম রক্ষা করে চলে। বলা চলে সামাজিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে পুরুষরা পিছিয়ে আছে নারীর চেয়ে। যা তাদের মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে।
এমনকি পুরুষরা অনেক রোগবালাইকে পাত্তা দিতে চায় না। ফলে ডাক্তার দেখানো, নিয়মিত চেকআপ এসব এড়িয়ে যায়। এজেন্সি ফর হেলথকেয়ার রিসার্চ অ্যান্ড কোয়ালিটির মতে, পুরুষদের রুটিন হেলথ এড়িয়ে যাওয়ার অভ্যাস অনেক বেশি এবং বছরে যেকোনো ধরনের ডাক্তারকে দেখানোর অনুপাত নারীর তুলনায় অনেক কম। এটিও ধরা হয় পুরুষের গড় আয়ু কম হওয়ার পেছনের কারণ হিসেবে।