সারা দেশে চলছে হিট অ্যার্লাট জারি। যতক্ষণ না আপনাকে বাইরে বের হতে হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ঠিক আছে; কিন্তু বাইরে বের হলেই শুরু হবে অস্বস্তি। গরমের সময়ে বাইরে পা রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। ঘাম ও তাপ সহজেই ডিহাইড্রেশন হতে পারে এবং এর কারণে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু জরুরি উপায়, যা গরমে আপনাকে শীতল হতে সাহায্য করবে—
ঢিলেঢালা সুতির কাপড় পরুন
টাইট ফিট করা এবং গাঢ় রঙের জামাকাপড় পরলে আরও বেশি ঘামতে পারেন। আপনি যদি ঠান্ডা থাকতে চান এবং অতিরিক্ত ঘাম এড়াতে চান তা হলে ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের সুতির কাপড় বেছে নিন। মোটা কাপড় পরলে ঘাম বাষ্পীভূত হয় না। এ ছাড়া গাঢ় রঙ আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি শোষণ করে। যে কারণে এ ধরনের কাপড় পরলে আরও বেশি গরম লাগে।
হালকা গরম পানিতে গোসল করুন
গরম আবহাওয়ায় ঠান্ডা পানিতে গোসল করা আরামদায়ক বলে মনে হয়, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন যে এটি আপনাকে আরও গরম অনুভব করাতে পারে। কারণ আপনি যখন ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন তখন শরীরকে আবার গরম করার জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে গরম পানি রক্ত প্রবাহকে ঠান্ডা করে। সুতরাং এটি বেছে নেওয়া একটি ভালো উপায়।
হালকা খাবার খান
ভারি খাবার খাওয়া শরীরে তাপ তৈরি হতে পারে এবং আপনি অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। ভারি খাবার খাওয়ার পরে আপনার শরীরকে খাবার হজম এবং তা বিপাক করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এটি অবশেষে আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় এবং ঘাম ও ক্লান্তির মতো সমস্যা দেখা দেয়। গরমে হালকা ও তাজা রান্না করা খাবার খান। প্রক্রিয়াজাত খাবার ও নোনতা খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন।
চা ও কফি এড়িয়ে চলুন
ক্যাফেইন ও নিকোটিন গ্রহণ শরীরের মূল তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। এগুলো রক্তনালিকে সংকুচিত করে, যা রক্তকে উষ্ণ করে এবং এর ফলে আপনার গরম বেশি লাগে ও ঘাম বেশি হয়। ডাবের পানি, লেবুর শরবত এবং ফলের রসের মতো ঠান্ডা পানীয় পান করুন। সেই সঙ্গে অ্যালকোহল গ্রহণও এড়ানো উচিত।
পায়ের আঙুল ঠান্ডা করুন
যদি অতিরিক্ত গরম অনুভব করেন, তবে তাপমাত্রা কমিয়ে আনার একটি সহজ উপায় হলো পায়ের আঙুলগুলোকে ঠান্ডা করা। কিছু সময়ের জন্য আপনার পা ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে আরাম পাবেন এবং গরমও কম অনুভব করবেন। কিছুক্ষণ ভেজা মোজাও পরতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন ঠান্ডা লেগে না যায়।
হাইড্রেটেড থাকুন
হাইড্রেটেড থাকা গরমের তাপ থেকে বাঁচার সহজ নিয়ম। ঘামের মাধ্যমে যে পানি বের হয়ে যায়, পর্যাপ্ত পানি ও অন্যান্য তরল পান করলে সেই ঘাটতি পূরণ হয়। সব ধরনের আবহাওয়ায়ই প্রতিটি ব্যক্তির জন্য ২ লিটার পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। গ্রীষ্মকালে শরীর থেকে সহজে পানি কমে যাওয়ার কারণে আপনাকে একটু এসময় বেশি পানি পান করতে হবে। জুস, ডাবের পানি এবং হাইড্রেটিং ফল খান নিয়মিত।