দেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। অধিকাংশ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীই জানেন না তারা আক্রান্ত। নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ না থাকায় শনাক্তের বাইরে থাকছেন তারা। হৃদরোগ-ডায়াবেটিস কিংবা অন্য কোনো জটিল রোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে শনাক্ত হয় উচ্চ রক্তচাপ।
গতকাল ‘বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) দিবস’ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউজিসি অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী মেসকাত আহম্মেদ। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামানের সঞ্চালনায় প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন ক্লিনিক্যাল কার্ডিওলজির প্রধান গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. মো. হারিসুল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. জাহানারা আরজু।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীই জানেন না তারা আক্রান্ত। অন্য রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে উচ্চ রক্তচাপ শনাক্ত হয়। অনেকে আক্রান্ত জেনেও নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন না। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অসংক্রামক রোগের প্রকোপ অনেকটাই কমানো সম্ভব। সরকার ইতোমধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, ‘শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক নয়, উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে উপজেলা থেকে শুরু করে সমগ্র দেশে। মানুষের খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। যতটা পারা যায় টেনশনমুক্ত থাকতে হবে। ব্যায়াম করতে হবে। যথা সময়ে ঘুমাতে হবে। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবে না।’