খাবার খাবেন, কিন্তু ওজন বাড়বে না, মেদ জমবে না এমনটা অনেকেই ভাবতে পারেন না। আবার ভাবলেই কি কাজ হয়? না। সুস্থ ও সুন্দর থাকতে হলে সুষম খাবার খেতে হবে। ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলেও সঠিক নিয়ম মেনে, সঠিক পরিমাপে খাবার খেতে হবে। কী খাচ্ছেন তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কখন খাচ্ছেন তা-ও সমান গুরুত্বপূর্ণ। একই সময়ে অধিক খাবার না খেয়ে অল্প করে বার বার খাবার খেলে শরীরে তেমন মেদ জমে না।
এই বিষয়ে ভারতীয় পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী জানান, প্রতি দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর খাবার খাওয়া উচিত। একবারে ভারী খাবার না খেয়ে বার বার অল্প অল্প করে খেলেই হজম ভালো হবে। শরীরে মেদও জমবে না।
শম্পার পরামর্শ, সকালের খাবার বাদ দিয়ে তারপরের বেলায় চর্ব-চোষ্য খেয়ে ফেললে কোনো লাভই হবে না। অনেকেই ভাবেন যে, বার বার খেলে মেদ জমবে। এটি সম্পূর্ণই ভুল ধারণা। দিনে তিন বার ভারী খাবার খাওয়ার চেয়ে ছয়বার অল্প অল্প করে খেলে তবেই শরীর ঠিক থাকবে।
সকাল, দুপুর ও রাত, এই তিনবেলার খাবারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে মাঝের সময়েও একেবারে পেট খালি রাখলে চলবে না। বেশি ক্ষণ পেট খালি থাকলে গ্যাস-অম্বলের ভয় থাকে। এ পুষ্টিবিদ জানান, প্রতিটি খাবারের মধ্যে অন্তত ২-৩ ঘণ্টার পার্থক্য থাকতে হবে। হালকা খাবার কয়েক ঘণ্টা পর পর খেতে হবে। যেমন, সকালে দুধ-কর্নফ্লেক্স বা ওট্স খেলে ‘মিড মর্নিং’-এ মৌসুমি ফল বা একমুঠো বাদাম খেতে হবে। আবার দুপুরের খাওয়ার পর সেই রাতে খেলে চলবে না। তার মাঝে বিকেলে হালকা টিফিন করতে হবে। সে সময় ছাতু, বাদাম, শুকনো ফল খেতে পারেন। ভাজাপোড়া, মচমচে স্ন্যাকস একেবারেই খাওয়া যাবে না।
মনে রাখতে হবে
কতক্ষণ পর পর খাওয়া জরুরি তা শরীরের বিপাক হারের উপর নির্ভর করে। সকালে কখন উঠছেন, শারীরিক পরিশ্রম কতোটা, শরীরচর্চার অভ্যাস রয়েছে কি না, এই বিষয়গুলি খাওয়াদাওয়া এবং তার সময়ের উপর নির্ভর করে। তবে সময় মেপে খাওয়া খুব জরুরি।