করোনাভাইরাস বিস্তারে মুখ অন্যতম একটি মাধ্যম। সুতরাং পূর্ণভাবে বাড়িতে মুখ ও দাঁতের যত্ন নিতে হবে, অবশ্যই দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করা উচিত।
বর্তমানে পুরো বিশ্ব করোনায় আক্রান্ত। এই মহামারি আমাদের দাঁড় করিয়েছে নতুন এক বাস্তবতার সামনে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসচেতনতা বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে সবাইকে। এর থেকে বাদ যায় না মুখ ও দাঁতের পরিচর্যাও। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ডা. অরূপ রতন চৌধুরীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি জানান, ইংরেজিতে একটা কথা আছে, ‘ইয়োর মাউথ: আ গেটওয়ে টু ইয়োর বডি’স হেলথ’, অর্থাৎ মুখই স্বাস্থের প্রবেশপথ। অর্থাৎ মুখ দিয়ে যা কিছু খাই, তা–ই আমাদের পাকস্থলীতে যায়। করোনাভাইরাসের অন্যতম প্রবেশদ্বারও মুখ। সুতরাং মুখ ও দাঁতের সুস্থতার সঙ্গে সারা শরীরের সুস্থতা জড়িত। অন্যভাবেও বলা যায়, মুখের সুস্থতার ওপরই দেহের সুস্থতা নির্ভর করে।
করোনাভাইরাস বিস্তারে মুখ অন্যতম একটি মাধ্যম। সুতরাং পূর্ণভাবে বাড়িতে মুখ ও দাঁতের যত্ন নিতে হবে, অবশ্যই দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করা উচিত। বিশেষ করে সকালে ও রাতে খাওয়ার পর, সফট টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত ও জিব পরিষ্কার করা উচিত। সকালে ও রাতে হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা। দাঁতে ফাটল হতে পারে, এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। যেমন বোতল বা চুলের পিন খুলতে দাঁত ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
করোনার এই সময় যেহেতু বাড়িতেই বেশি সময় থাকতে হচ্ছে, এ জন্য দাঁত ভালো রাখতে সারা দিন কী খাচ্ছেন, সে ব্যাপারে যত্নবান হোন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রুটিন ডেন্টাল চেকআপ এই করোনাকালে না করাই ভালো। তবে কারও যদি কোনো জরুরি প্রয়োজন হয়, যেমন দাঁতের গোড়া বা মুখ ফুলে যাওয়া, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করা, হাঁ করতে অসুবিধা হওয়া, মুখে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া, ধারালো ভাঙা দাঁতের কারণে ঘা বা ক্ষত। এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতেই হবে। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার নির্দেশনাগুলো চিকিৎসক, রোগী, স্বাস্থ্যকর্মীসহ সবাইকে মানতে হবে।