অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তির সহজ ঘরোয়া উপায়

0
331
Spread the love

অ্যাসিটিডির সমস্যায় কে না ভুগেছেন। বার বার অ্যান্টাসিড খেতে খেতেও বিরক্ত অনেকেই। এই সমস্যার দ্রুত প্রাকৃতিক সমাধানের উপায় কিন্তু রয়েছে। ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও এড়ানো যায়। অ্যাসিড জনিত গলাবুক জ্বালা থেকে রেহাই পেতে ১০টি ঘরোয়া পদ্ধতির উল্লেখ করা হল-।

মৌরি- এতে রয়েছে অ্যান্টি আলসার উপাদান। মৌরিতে কপার, আয়রন, পটাসিয়াম, সেলেনিয়াম, জিংক ও ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে আছে। মৌরি হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্টকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। অ্যাসিড হলে কিছু পরিমাণ মৌরি খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদি ফল পেতে পানিতে কিছু মৌরি ফেলে ফুটিয়ে রাতে রেখে দিতে হবে। পরের দিন অ্যাসিডিটির কারণে যখন অসুবিধা হবে, তখন তা পান করতে হবে।

ঠান্ডা দুধ- এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা অ্যাসিড তৈরি হতে বাধা দেয় এবং অতিরিক্ত উৎপাদিত অ্যাসিড শোষণ করে নেয়। অ্যাসিডের কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে ঠাণ্ডা দুধ খেতে হবে। এবং চিনি মেশানো চলবে না। অ্যাসিডিটি রোধে আরো বেশি কার্যকরী ফল পেতে এক গ্লাস দুধে এক চামচ ঘি সহযোগে পান করতে হবে।

আদা- হজমশক্তি বাড়াতে আদা উপযোগী। মুখের লালা বা স্যালাইভা উৎপাদন করে আদা। মিউকাস নিঃসরণ বাড়িয়ে আলসার থেকেও পাকস্থলীকে রক্ষা করে। অ্যাসিড থেকে মুক্তি পেতে আদার ছোট ছোট টুকরো খেতে হবে। এছাড়া পানিতে আদা ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে খেলেও ফল মেলে। এছাড়া আদা বেটে গুড়ের ছোট টুকরোর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে রেখে চুষে খেলেও ফল মেলে।

লবঙ্গ- লবঙ্গও মুখে অতিরিক্ত লাভা নিঃসরনে সাহায্য করে, এতে হজমে সাহায্য হয় এবং অ্যাসিডিটি দূর হয়। অ্যাসিডিটি হলে লবঙ্গ মুখে ফেলে একবার কামড়ে নিতে হবে, যাতে এর রস বের হয়। এরপর মুখে রেখে দিতে হবে। এভাবে ধীরে ধীরে নির্গত লবঙ্গের রস অ্যাসিডের প্রভাব কমায় এবং স্বস্তি মেলে।

এলাচ- হজমশক্তি বাড়ায়। ছোট এলাচের দুইটি দানা গুঁড়ো করে পানিতে ফুটিয়ে তা ঠাণ্ডা হলে পান করুন, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন।

কলা- পটাশিয়ামের সম্বৃদ্ধ উৎস। তাই কলা পাকস্থলীতে অ্যাসিডের উৎপাদনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কলার বেশ কিছু উপাদান পাকস্থলীতে মিউকাসের উত্পাদনও বাড়িয়ে দেয়, যা অত্যধিক অ্যাসিড উৎপাদনের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে। কলার ফাইবার উপাদানের কারণে হজমশক্তি বাড়ে। এতে অ্যাসিডিটি আক্রান্ত হওয়ার পুনরাবৃত্তিও রোধ হয়। অ্যাসিটিডি থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পাকা কলা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে