খুট করে একটা আওয়াজ। চোখের পলক পড়বে না। তার মধ্যেই মিশে যাবে টিকা। একেবারে ত্বকের তৃতীয় স্তরে। টেরই পাবেন না টিকা গ্রাহক। সূচ ফোটাতে হবে না যে! জাইডাস ক্যাডিলার জাইকোভ ডি আর তা দেয়ার যন্ত্র ফার্মাজেট নিয়ে কৌতূহল চরমে!
সূচ আতঙ্কে অনেকেই টিকাকেন্দ্রের ধারে কাছে যাচ্ছেন না। বাড়ির খুদেটার ভয় আরো বেশি। তাই শিশুদের টিকাকরণ নিয়ে চিন্তায় অভিভাবকরাও। সেখানেই মুশকিল আসান ফার্মাজেট। নয়া এই মেশিনই ব্যবহার করা হবে জাইকোভ ডিয়ের জন্য। জাইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিন জাইকোভ ডি দেশ তথা বাংলায় আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে। এটাই প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিন যা ছাড়পত্র পেল ভারতে। ভারতের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ১২ বছরের উপরের শিশুদের জন্যও এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হবে।
কোভ্যাক্সিন বা কোভিশিল্ডের সাথে এই ভ্যাকসিনের বিস্তর ফারাক। ওই সব টিকার মতো দু’ডোজের নয়, জাইকোভ ডি তিন ডোজের। ২৮ দিন অন্তর তা দেয়া হবে দু’হাতে। রাজ্যের ভ্যাকসিন ট্রায়াল ফ্যাসিলিটেটর স্নেহেন্দু কোনার জানিয়েছেন, পয়েন্ট এক মিলিলিটার করে দু’হাতেই দেয়া হবে জাইকোভ ডি। প্রথম ডোজ দেয়ার পর ২৮ দিন অন্তর দ্বিতীয় ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ২৮ দিন পর আবার তৃতীয় ডোজ। দু’হাতে ভ্যাকসিন? তবে টেরও পাবেন না টিকা গ্রাহক। সূচই নেই যেই ফার্মাজেট যন্ত্রে!
সাঁড়াশির মতো দেখতে এ যন্ত্রে টিকার তরল ভরে নেয়া হবে। এরপর হাতের চামড়ায় যন্ত্রের মুখ রেখে দু হাতলে চাপ মারলেই তীরবেগে তরল ঢুকে যাবে চামড়ার ভিতরে।
ভ্যাকসিন ট্রায়াল ফ্যাসিলিটেটর, স্নেহেন্দু কোনার জানিয়েছেন, ত্বকের ডার্মিস স্তরে দেয়া হবে এই টিকা। ফ্যাটি টিস্যু বা সাবকুটেনাস স্তরকে পেরিয়ে ঝড়ের গতিবেগে তা ঢুকে যাবে ইন্ট্রামাসকুলার অংশে। সূচ না থাকায় টেরই পাবেন না টিকা গ্রাহক। টিকা দেয়ার পর এক মিনিট তুলো দিয়ে চেপে রাখতে হবে জায়গাটা।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পয়েন্ট এক মিলিলিটারের বেশি ডোজ ভায়াল থেকে মেশিনে চলে এলেও অসুবিধে নেই। প্রয়োগ করার সময় পয়েন্ট এক মিলিলিটারই মানুষের দেহে প্রবেশ করবে। বাকি অতিরিক্ত ডোজ ফার্মাজেটে ফিরে আসবে।