কফ অ্যাজমায় সাবধানতা

0
132
Spread the love
সাধারণ অ্যাজমার বাইরেও ‘কফ অ্যাজমা’ নামের একরকম শ্বাসকষ্ট রোগীদের মধ্যে দেখা যায়। এর প্রধান লক্ষণ নিরন্তর কাশি। অথচ ফুসফুসের ভেতর শব্দ নেই অর্থাৎ শাঁইশাঁই শব্দ বা ফুসফুসে শ্লেষ্মা নেই অথচ নিরন্তর কাশি হচ্ছে। এমন ধরনের কাশি বা অ্যাজমাজাতীয় লক্ষণ যখন বারবার ফিরে আসে বা অসহনীয় ও তীব্রতর হয়ে ওঠে তখন সেটিকে ‘কফ অ্যাজমা’ বলে।

সপ্তাহে দু-তিনবারের বেশি এমন উপসর্গ হলে সেটিকে নিশ্চিতভাবে কফ অ্যাজমা বলা চলে। এ ধরনের রোগ সৃষ্টিতে জেনেটিক প্রবণতা মুখ্য ভূমিকা পালন করে।কারণ
এটির প্রধান কারণ বাতাসের ক্ষুদ্র কণা বা পিএম ০.২৫ মাইক্রোন কণা, সেই সঙ্গে গ্লাইকোপ্রোটিনজাতীয় উদ্দীপক, বাতাসে বিদ্যমান মাইটের মল, ঘাস, বাঁশ, ফুলের পরাগ, জীবজন্তুর লোম, লালা ও মূত্র এবং বিভিন্ন উদ্ভিদের গ্লাটোপ্রোটিনজাতীয় ভগ্নাংশ, যা অ্যালার্জি তৈরি করে অথবা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বায়ুবাহিত ঠাণ্ডা, গরম এবং আর্দ্রতাজাতি অ্যালার্জি।

উপশম
নেবুলাইজেশনসহ মস্তিষ্কে কার্যকর কাশি নিরোধক ওষুধ, মাস্কের মাধ্যমে মেনথল মিশ্রিত উষ্ণ জলের ধোঁয়া, লবঙ্গ মিশ্রিত উষ্ণ জলের ধোঁয়া এ ধরনের কাশি কমাতে সাহায্য করে।

মধু মিশ্রিত আদা ও লবঙ্গ ভালো কাজ করে। ব্রংকোডায়ালেটরজাতীয় ওষুধ বা স্টেরয়েড কফ অ্যাজমা উপশমে অতি কার্যকর। কফ অ্যাজমা বৃদ্ধি পেলে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।

লেখক :

 ডা. এম এ হাসান

প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান গবেষক
অ্যালার্জি অ্যাজমা ও এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে