করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক যতটা কাজের, ফেসশিল্ড ততটা নয়। আবার নিয়মমাফিক মাস্ক পরলেই যে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে, তাও ঠিক নয়। এই বিষয়ে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ, নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে মাস্ক এবং ফেসশিল্ড দু’টোই ব্যবহার করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, করোনাভাইরাসের ড্রপলেট ফেসশিল্ড তেমনভাবে আটকাতে পারে না। কারণ বাজারে যেসব ফেসশিল্ড পাওয়া যায়, সেগুলি রাসায়নিক থেকে চোখকে রক্ষা করার জন্য। তাই ফেসশিল্ড বড় জোর চোখের মাধ্যমে সংক্রমণ আটকাতে পারে। ভাইরাসের উৎস নিয়ন্ত্রণ বলতে বোঝায় কারও কথা বলা, হাঁচি কিংবা কাশির মাধ্যমে যখন বড় আকারের ড্রপলেট বের হয়ে আসে, তা আটকানো। এজন্য দরকার এমন মাস্ক যা মুখ ও নাক ঢেকে রাখে। ফেসশিল্ড এটা পারে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, যদি বিশেষভাবে ক্ষমতাসম্পন্নদের নন-মেডিক্যাল মাস্ক পরতে সমস্যা হয় কিংবা এ ধরনের মাস্ক না পাওয়া যায়, তাহলেই একমাত্র বিকল্প হিসাবে ফেসশিল্ডের কথা ভাবা যেতে পারে। এবং সেক্ষেত্রে এমন ফেসশিল্ড দরকার যাতে মুখের দুই দিক ও থুতনি ঢাকা পড়ে।
একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য, শুধু নির্দেশ মেনে মাস্ক পরাটাই সংক্রমণ ঠেকানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়। হাত ধোয়া, অন্তত ১ মিটারের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মুখে হাত না দেওয়া, শ্বাসপ্রশ্বাসের রীতি মেনে চলা, ঘরের মধ্যে হাওয়া চলাচলের ভাল ব্যবস্থার দিকেও নজর দিতে হবে। পাশাপাশি চালিয়ে যেতে হবে কোভিড পরীক্ষা, কনট্যাক্ট ট্রেসিং, কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের নিয়ম।
শিশুদের মাস্ক পরা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা হল, কোভিডে সংক্রমিত না হলে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের মাস্ক পরার দরকার নেই। ৬ থেকে ১১ বছর পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরানোর সিদ্ধান্ত বুঝে নিতে হবে। একই নিয়ম মেনে চলতে হবে ১২ বছর কিংবা তার বেশি বয়সের কিশোরদের ক্ষেত্রে।