করোনা মহামারি রোধে কারা কর্তৃপক্ষও ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। বন্দিদের সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি আক্রান্তদের সুস্থ করে তোলার জন্য আইসোলেশন সেন্টার তৈরি হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ রবিবার ভার্চুয়ালি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে আইসোলেশন সেন্টারের পাশাপাশি ফেনী ও কিশোরগঞ্জের দুটি কারাগারেও আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন করবেন।
এর আগে রাজশাহীতে ডিআইজি প্রিজনসের বাংলো আইসোলেশন সেন্টার হয়েছে। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২, দিনাজপুর, মাদারীপুর ও পিরোজপুর জেলা কারাগারেও আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে।
কারা সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আইসোলেশন সেন্টারে দায়িত্ব পালন করবেন তিনজন ডাক্তার ও কয়েকজন নার্স। ফেনী ও কিশোরগঞ্জ কারাগারে দুজন করে ডাক্তারকে আইসোলেশন সেন্টারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইজি প্রিজনস ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, ‘আইসিআরসির সহযোগিতায় তিনটি আইসোলেশন সেন্টার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিকিত্সক দিয়েছে।’ আইজি প্রিজনস আরো জানান, আগামী জুন-জুলাই মাসে করোনার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কায় আইসোলেশন সেন্টার করে রাখা হচ্ছে।
এপ্রিল মাসে দেশের বিভিন্ন কারাগারের ছয়জন কর্মকর্তাসহ ২৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন বন্দি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারাও গেছেন। বর্তমানে বিভিন্ন কারাগারে ছয়জন করোনা আক্রান্ত রয়েছেন। কয়েকজন কারারক্ষী আক্রান্ত। আক্রান্তের সংখ্যা আগের চেয়ে কমলেও ভবিষ্যতের চিন্তায় তাঁরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, ‘আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। যাতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায়।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি করোনা রোধে দেশের সব কারাগারে ছয় পাতার একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে সরকার। নির্দেশনা অনুযায়ীই কারা কর্মকর্তারা কাজ করছেন।