কিডনি সুস্থ রাখতে ৭ উপায়

0
406
Spread the love

শরীরের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে কিডনি। এই অঙ্গটি ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব। এটি শরীরের তরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত বর্জ্য ও পানি অপসারণ করে শরীরের রাসায়নিকের স্থিতিশীল ভারসাম্য বজায় রাখে।

এই অঙ্গটির কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হলে বা এটি অসুস্থ হলে তা শরীরে অনেক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। আর কিডনির রোগকে নীরব ঘাতকও বলা হয়। কারণ কিডনির সমস্যা হলে তা প্রথম অবস্থাতে ধরা পড়ে না। পরে সমস্যা অনেক বেশি হয়ে গেলে তখন ধরা পড়ে।

তাই আগে থেকেই কিডনি সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সবার। এ জন্য জানুন কিডনি সুস্থ রাখতে সাত কার্যকরী উপায়—

১. হাইড্রেটেড থাকা
কিডনিকে সুস্থ রাখতে প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে— শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা বা শরীরে পর্যাপ্ত তরল রাখা। কারণ পানি আপনার কিডনিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে সাহায্য করে এবং প্রস্রাবের শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দেয়। এর জন্য প্রতিদিন অন্তত দুই লিটাব বা চার গ্লাস পানি পান করা উচিত। তবে এ পরিমাণটি জলবায়ু ও শরীরের অবস্থার ওপরে নির্ভর করে।

২. রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপের কারণে আপনার কিডনির রোগ হতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল ও কার্ডিওভাসকুলার রোগ থেকেও কিডনির সমস্যা শুরু হতে পারে। তাই আপনার উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।

৩. ব্যায়াম করা
ব্যায়াম শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি রক্তচাপ কমাতে এবং দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। তবে মনে রাখবেন— অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে তা আবার কিডনির সমস্যাও তৈরি করতে পারে। আর ব্যায়ামের সময় অবশ্যই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে।

৪. ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়া
অতিমাত্রায় ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার কারণে তা কিডনির ক্ষতি করতে পারে। তাই দীর্ঘমেয়াদি ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার বিষয়ে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত।

৫. নিয়ন্ত্রিত খাবার
নিয়ন্ত্রিত খাবার গ্রহণ করা আমাদের সবার জন্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনিয়ন্ত্রিত খাবার কিডনিসহ আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ওপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর জন্য আপনি অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাবার, বেশি পরিমাণে লবণ ও চিনি খেলে তা কিডনির ক্ষতি করতে পারে। আর এটির কারণে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও কমে।

৬. অ্যালকোহল ত্যাগ
অ্যালকোহল কিডনির অনেক ক্ষতি করে। এটির কারণে অনেকের কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ারও ঘটনা ঘটে। তাই আপনার কিডনিকে সুস্থ রাখতে চাইলে অ্যালকোহল পরিহার করতে হবে।

৭. ধূমপান পরিহার করা
আমরা অনেকেই জানি যে কিডনি হার্টের ক্ষতি করে। কিন্তু এটি আমরা অনেকেই জানি না যে এটি কিডনিরও অনেক ক্ষতি করে। ধূমপান আমাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের রক্ত প্রবাহকে ধীর করে দেয়। আর রক্ত যখন কিডনিতে পৌঁছায়, তখন তাদের স্বাভাবিকভাবে কাজ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এ কারণে কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে