গণস্বাস্থ্যের ওয়েবিনারে ড. বিজন শীলের তথ্য: ডেল্টা ভেরিয়েন্টের নতুন রূপান্তর ‘টি-১৯আর’

0
697

ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ভয়াবহতার জন্য অন্যান্য মিউটেশনের (পর্যায়ক্রমে রূপান্তরিত) সঙ্গে ‘টি-১৯আর’ মিউটেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ কারণে এই ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগে ঠিক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো আক্রমণের সুযোগ পেয়েছে বলে দাবি করেছেন অণুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। গতকাল শনিবার রাজধানীর ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ‘ডেল্টা ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ ও প্রভাব’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে ওই বিজ্ঞানী এ তথ্য তুলে ধরেন। ওয়েবিনারটির আয়োজন করে গণবিশ্ববিদ্যালয়।

অনুষ্ঠানে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লায়লা পারভীন বানুর সভাপতিত্বে ড. বিজন কুমার শীল ছাড়াও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএসএমএমইউয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা.  নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক জাকির হোসেন, বিএসএমএমইউয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান, আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মোস্তফা হোসেন, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. এস তাসাদ্দেক আহমেদ, উপাধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার, গণস্বাস্থ্যের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘ডেল্টার সঙ্গে ফ্লু ভাইরাসের যথেষ্ট মিল রয়েছে। এটি খুব দ্রুত ছড়ায়। ফলে পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে বাকি সবাই আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থাকে। এই ভাইরাসের ভয়াবহতা রোধে কেউ একজন আক্রান্ত হলে তার নিকটজন সবাইকে পরীক্ষা করতে হবে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই কাপড় বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত মাস্ক পরিধান এবং ভ্যাকসিন নেওয়ার বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন, আক্রান্ত রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে চিকিৎসা নিতে হবে। ডেল্টা ভেরিয়েন্টের চিকিৎসার জন্য ড্রাগস বিশ্ববাজারে বিদ্যমান রয়েছে। এ ছাড়া জিংকের সমন্বয়ে তৈরি ভিটামিন সি গ্রহণ করলে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট প্রতিরোধ সম্ভব।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য আমি আগেও প্রস্তাব করেছি, আবারও করছি। আমাদের বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ডিকোটিং করেছেন। এটার জন্য অনেক বেশি গবেষণা দরকার। আজ চীন ১০০ কোটি টিকা তৈরি করে বিক্রি করবে। ছয় মাসেরও আগে আমাদের এখানে চীন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করতে চেয়েছিল, কিন্তু সেটা হয়নি।’ গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে আধা ডলারের বেশি খরচ হয় না। তার জন্য ন্যূনতম ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে