চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের গর্ভধারণ নিয়ে জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

0
478
doctor explaining diagnosis to her female patient
Spread the love

সন্তান ধারণের জন্য ২৫-৩০ বছর বয়সকে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। জটিলতার আশঙ্কায় ৩৫ বছরের পর সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়। বিশেষ করে বয়স ৪০ পার হয়ে গেলে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত।

এ  ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. দীনা লায়লা হোসেন বলেন, সন্তান ধারণের জন্য ২৫-৩০ বছর বয়সকে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। জটিলতার আশঙ্কায় ৩৫ বছরের পর সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়। বিশেষ করে বয়স ৪০ পার হয়ে গেলে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত।

তিনি বলেন, আমরা জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই। পাশাপাশি জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করতে চাই। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের যে স্লোগানটা রয়েছে- ‘দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়’।

দেখা যাচ্ছে, একজন মা ৪০ বছরের আগে দুটি সন্তান নিয়েছেন। তাহলে তো আর প্রয়োজন নেই। অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে এমন মায়েদেরও সন্তানের প্রয়োজন হয়। তবে মায়ের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কিছু জেনেটিক অসুস্থতা বাচ্চার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে- এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

ডা. দীনা লায়লা হোসেন বলেন, প্রথমত যদি বাচ্চা নেওয়ার প্রয়োজন হয়, বাচ্চা নেওয়া যাবে। যদি বাচ্চার গঠনগত সমস্যা বা জেনেটিক সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে বাচ্চা যেন পারিবারিকভাবে, সামাজিকভাবে বোঝা হয়ে না দাঁড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এখন বিষয়টা হলো- কীভাবে জানবো বাচ্চার জেনেটিক কোনো সমস্যা হয়েছে কি না কিংবা কোনো অসুস্থ বাচ্চা জন্ম দিচ্ছি কি না। এ ধরনের সমস্যাগুলো কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে সন্তান মায়ের পেটে থাকার প্রথম দিকে চিহ্নিত করা যায়।

সূত্র: ডক্টর টিভি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে