চীনের তৈরি আরেকটি করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন মানব শরীরে পরীক্ষায় সফল হয়েছে। ‘বিবিআইবিপি-করভি’ নামের এ ভ্যাকসিনটি তৈরি করছে বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টসের অধীনে থাকা চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ (সিএনবিজি)। সূত্র : রয়টার্স।
গবেষকরা বলেছেন, মানুষের ওপর প্রাথমিক ও মধ্যপর্যায়ের সম্মিলিত পরীক্ষায় প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছে বিবিআইবিপি-করভি ভ্যাকসিন। জানা গেছে, এটি এরই মধ্যে চীনে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। জরুরি কর্মসূচির অধীনে থাকা দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মী ও সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে এ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। খবরে বলা হয়, বিবিআইবিপি-করভি ভ্যাকসিনটি দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় মারাত্মক কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এতে সামান্য সর্দি, হালকা জ্বর বা ইনজেকশন দেওয়ার জায়গায় সামান্য ব্যথা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মেডিকেল জার্নাল ‘ল্যানসেট’-এ ভ্যাকসিনটির গবেষণাসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে।
জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল থেকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের যৌথ পরীক্ষায় ৬০০ জনের ওপর ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালানো হয়। বিভিন্ন দলের মানুষের ওপর তিনটি পৃথক ডোজে এটি দেওয়া হয়। এতে সবার শরীরে অ্যান্টিবডি (প্রতিরোধী ক্ষমতা) তৈরি হতে দেখা গেছে। বয়স্কদের শরীরেও এতে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। তবে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি স্তর কম ও দেরিতে শুরু হয়।
সিএনবিজির তৈরি বিবিআইবিপি-করভি ভ্যাকসিনের আরেকটি সংস্করণ চীনের বাইরে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। ওই ভ্যাকসিনও চীনের জরুরি টিকা কর্মসূচিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। সিএনবিজির একজন নির্বাহী গত মাসে বলেছিলেন, এই দুটি ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য শর্তাধীন অনুমোদন পেতে পারে। গত আগস্ট মাসে এক গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়, সিএনবিজির অন্য ভ্যাকসিনটি দ্বিতীয় ধাপে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই অ্যান্টিবডি তৈরি করেছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ১০টি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পরীক্ষার তৃতীয় ধাপে রয়েছে। এর মধ্যে সিএনবিজির ভ্যাকসিন প্রকল্প অন্যতম। এ নিয়ে মোট চারটি চীনা ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপে রয়েছে।