জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের টিকা ‘৬৬% কার্যকর’

0
494
Spread the love

তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকারিতার হার ৭২ শতাংশ বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

প্রায় ৪৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে এই পরীক্ষার আওতায় নেওয়া হয়েছিল। লাতিন আমেরিকায় মধ্যম ও মারাত্মক ধরনের কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার মাত্রা ৬৬ শতাংশ এবং বিশেষভাবে উদ্বেগজনক ধরন ছড়িয়ে পড়া সাউথ আফ্রিকায় এ টিকার কার্যকারিতা মাত্র ৫৭ শতাংশ মিলেছে।

এর আগে ফাইজার ও মডার্নার দুটি অনুমোদিত টিকার দুটি ডোজ উপসর্গমূলক রোগ প্রতিরোধে প্রয়োগ করে ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। তবে ওসব পরীক্ষা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং কোভিড-১৯ এর নতুন ধরনগুলো বিস্তৃত আকারে ছড়ানোর আগের।

জনসন অ্যান্ড জনসনের পরীক্ষার প্রধান লক্ষ্য ছিল মাঝারি থেকে মারাত্মক ধরনের কোভিড-১৯ প্রতিরোধ। ওই টিকার প্রয়োগ সমস্ত ভৌগোলিক এলাকাজুড়ে মারাত্মক রোগ হাসপাতালে ভর্তি প্রতিরোধে এবং একাধিক ধরনের বিরুদ্ধে টিকার প্রয়োগের ২৮ দিন পর ৮৫ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গেছে।

জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. পল স্টোফেলস এক বিবৃতিতে বলেন, উল্লিখিত মাত্রার প্রতিরোধ ‘কোভিড-১৯ এর মারাত্মক ও প্রাণঘাতী পরিণতি থেকে কোটি মানুষকে সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা’ দেবে।

এই টিকার জরুরি প্রয়োগের জন্য অনুমোদন চেয়ে আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের কাছে আবেদন করার পরিকল্পনা করেছে কোম্পানিটি।

বহু কাঙ্ক্ষিত সরবরাহ বাড়াতে ও যুক্তরাষ্ট্রে টিকা কর্মসূচি সহজ করতে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার পথ চেয়ে বসে আছেন জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

ফাইজার/বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকার মতো জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োজন হবে না বা পাস্তুরায়ন দরকার হবে না। এর ফলে বিশ্বের দুর্বল পরিবহন অবকাঠামো ও অপর্যাপ্ত হিমাগার সুবিধার অঞ্চলগুলোতে এই টিকা জোরালো প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে