এ সময়টায় আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সাধারণ জ্বর-ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। মহামারির প্রাদুর্ভাব শেষ না হওয়ায় এসব সমস্যায় অনেকেই ভয় পেয়ে যাচ্ছেন।
এ মৌসুমে সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, গলাব্যথাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতেই পারে। এসব সমস্যায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই। একটু সতর্ক থাকলে আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত জ্বর-সর্দি থেকে বেঁচে থাকা যায়।
১. নিয়মিত হাত ধোয়া
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে আমাদের হাত ধোয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা জেনেছি। কিন্তু এ অভ্যাসটি শীতের সময়েও চালিয়ে যেতে হবে। কারণ সর্দি-সৃষ্টিকারী ভাইরাসগুলো সংক্রামিত ব্যক্তির কাশি এবং হাঁচি থেকে ছড়িয়ে পড়ে। আর এগুলো ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত হাত ও পৃষ্ঠে বেঁচে থাকতে পারে। তাই অসুস্থ না হওয়া এড়াতে খাওয়ার আগে বা আপনার মুখ স্পর্শ করার আগে আপনার হাত সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
২. হাইড্রেট থাকা
শীতকালে এমনিতেই অনেকে পানি পান করা কমিয়ে দেন। কিন্তু এ সময়টাতেও নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে থাকতে হবে হাইড্রেটেড। পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে এবং আমাদের অসুস্থ হওয়া থেকে বিরত রাখে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলেও দিনে অন্তত ২ লিটার পানি পান করতে হবে।
৩. স্বাস্থ্যকর খাবার
আবহাওয়া পরিবর্তনের এ সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পেতে এবং আপনাকে ফিট রাখতে সাহায্য করবে যা দূরে রাখবে জ্বর ঠাণ্ডার সমস্যাকে। এ ছাড়া জিঙ্ক ও ভিটামিন ডি গ্রহণের মাত্রার দিকেও বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। কেননা এই দুটি পুষ্টি অনাক্রম্যতা বাড়াতে এবং অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৪. পর্যাপ্ত ঘুম
ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং প্রতিরোধ করতে পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের জন্য অপরিহার্য। নিদ্রাহীনতা বা ঘুমের খারাপ মানের কারণে শরীরের ভাইরাস এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই আপনার ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখতে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।
৫. ব্যায়াম
শুধু ওজন কমানো নয়, বরং শরীরকে ঠিক রাখতেও ব্যায়াম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি অনাক্রম্যতা বাড়াতে এবং ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ব্যায়াম আমাদের ইমিউন কোষগুলোকে শরীরের চারপাশে আরও দ্রুত ভ্রমণ করতে সহায়তা করে সঞ্চালনকে উন্নত করে। তাই এটি শরীরকে আরও ভাল উপায়ে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া