ডায়াবেটিকদের জন্য সকালের আদর্শ নাস্তা

0
981
Spread the love
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে খাদ্যাভ্যাসে থাকতে হবে সংযম।

দিনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ খাবারটা হল সকালের নাস্তা। আর একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর জন্য তার গুরুত্ব আরও বেশি। সারারাত না খেয়ে থাকার পর দিনের প্রথম খাবারটাই হলো সকালের নাস্তা, যা স্বাস্থ্যকর হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন’য়ের পরিসংখ্যান দাবি করে, বিশ্বব্যাপি সাড়ে ৪২ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আবার আগামি ২৫ বছরে তা নাকি প্রায় ৬৩ কোটিতে গিয়ে পৌঁছাবে।

নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে বৃক্ক, মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্র ইত্যাদির গুরুতর রোগ ডেকে আনতে পারে এই ডায়াবেটিস, ধ্বংস করে দিতে পারে শরীরের যেকোনো অঙ্গ।

খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হলো ডায়াবেটিকদের জন্য সকালের নাস্তার কী খাওয়া উচিত আর কী বর্জন করা উচিত।

আঁশ বেশি, চিনি কম এমন সিরিয়ালবিশ্বব্যাপি সকালের নাস্তায় একটি খাবার এই সিরিয়াল। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীও সিরিয়াল খেতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে তাতে ভোজ্য আঁশ বা ‘ফাইবার’ যেন বেশি থাকে আর চিনির পরিমাণ যাতে কম থাকে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।

পোরিজদালিয়া, ওটস, যবের মণ্ড বা জাউ অর্থাৎ সম্পূর্ণ শষ্য গুঁড়া গরম পানিতে মিশিয়ে তৈরি করা খাবার। বেশিরভাগ সময় ওটমিল দিয়েই এটি তৈরি করা হয়। যা দেখতে এবং স্বাদে অনেকটাই সিরিয়ালের মতো। মিষ্টি কিংবা নোনতা দুটোই করা সম্ভব এই খাবারটিকে। তবে ডায়াবেকদের জন্য তা নোনতাই হওয়া উচিত। সঙ্গে যোগ করা যেতে পারে বিভিন্ন ধরনের সবজি।

সম্পূর্ণ শষ্যের রুটিস্বাস্থ্যকর মাত্রায় কার্বোহাইড্রেইট মেলে এই রুটি থেকে। যা প্রক্রিয়াজাত নয়, চিনিও মেশানো নেই। এথেকে আরও মেলে ভোজ্য আঁশ, যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনন্য।

অ্যাভোকাডোএদেশে তেমন সহজলভ্য না হলে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য এটি দারুণ একটি সকালের নাস্তা। এতে থাকে পুষ্টিকর চর্বি। সম্পূর্ণ শষ্যের রুটির সঙ্গে অ্যাভোকাডো মিশিয়ে খেলে নাস্তা হবে পুষ্টিগত দিক থেকে পরিপূর্ণ।

যা খাওয়া যাবে না

চিনি, সরল কার্বোহাইড্রেইট ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে প্রত্যেক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীকে। আর সেগুলো হল চা-কফিতে চিনি, প্যাকেটজাত ফলের রস, ফলের স্মুদি, প্রক্রিয়াজাত ময়দার রুটি, চিনি মেশানো সিরিয়াল, ‘ওয়েফলস’, ‘প্যানকেক’, পেস্ট্রি, জ্যাম ইত্যাদি।

এছাড়া যেকোনো প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকেই একজন ডায়াবেটিককে যথাসম্ভব দূরে থাকা উচিত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে