স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি ‘স্থিতিশীল পর্যায়ে’ আসার দাবি করার পর দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৯১ জন; যা গত দিনের চেয়ে ১৪ জন বেশি।
নতুন ২৯১ জনকে নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ১১ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ৫ জন মারা গেছেন। তাদের নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ হাজার ১০ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩০৮ জন।এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৯০৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৮৬৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২০ হাজার ১৪টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের ৪ জন পুরুষ, একজন নারী। এ সময়ে ঢাকায় ৪ ও চট্টগ্রামে ১ জন মারা গেছেন। বাকি বিভাগগুলোতে কারো মৃত্যু হয়নি।
চলতি বছরের ২০ নভেম্বর সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ‘কেউ মারা যাননি’ বলে জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনসাধারণকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, করোনার নতুন ধরন দরজায় কড়া নাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, দেশে এখন করোনা সংক্রমণের হার ২ শতাংশের নিচে। এরপরও আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো সুযোগ নেই।
যেসব দেশে ওমিক্রম ছড়িয়েছে, সেসব দেশ থেকে প্রবাসী নাগরিকদের না ফেরার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তবে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে এখনই সীমান্ত বন্ধের পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। সীমান্ত এলাকার প্রতিটি বর্ডারে স্ক্রিনিং ও পরীক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।