নমুনা পরীক্ষা নিয়ে দুর্ভোগে প্রবাসীরা

0
732
Spread the love

চট্টগ্রামে প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসী রয়েছেন। এর মধ্যে করোনার প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর থেকেই নানা কারণে বড় একটি অংশ দেশে ফিরে আসে। গত ২৩ জুলাই থেকে করোনা পরীক্ষার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু একটি কেন্দ্রের মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষায় বাধ্যবাধকতা থাকায় বিদেশগামীদের হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দেশে করোনায় আটকে পড়া আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ওমান, বাহরাইন, কাতার, কুয়েত, ইতালি, চীন, কোরিয়াসহ বেশ কিছু দেশের যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে গত ২৩ জুলাই থেকে সেই দেশে যাওয়া শুরু হয়েছে। যাওয়ার ৭২ ঘণ্টা আগে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হয়। ২৩  জুলাই থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫৩ হাজার প্রবাসীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ৯৬০ জনের। দৈনিক গড়ে ৭০০ থেকে ৯০০ জন পর্যন্ত বিদেশগামীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একটি পয়েন্টে রেজিস্ট্রেশন ও মাত্র একটি বুথে নমুনা সংগ্রহ করায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নমুনা দেওয়ার আগে সিভিল সার্জন অফিসে টিকিট, ভিসা এবং পাসপোর্ট দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে হচ্ছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘জনবল সংকটসহ নানা কারণে বিদেশগামীদের নমুনা সংগ্রহে কিছুটা দেরি হচ্ছে। এখন বিভিন্ন সংস্থা থেকে জনবল সংগ্রহ করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে কেবল বিদেশগামীদের রেজিস্ট্রেটশন, নমুনা সংগ্রহ এবং রিপোর্ট প্রদানে ৩২ জন কাজ করছেন। চেষ্টা করি নমুনার রিপোর্ট দ্রুত দিতে।’

তিনি বলেন, ‘এখানে এজেন্সিদের একটা কৌশল আছে। তারা নিজেদের সুবিধার জন্য শেষ মুহূর্তে একসঙ্গে ১০-২০ জন যাত্রীর টিকিট দেয়। ফলে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন করোনার রিপোর্ট সংগ্রহে।’

বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে  অনেক মানুষ জটলা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ নিবন্ধন, কেউ নমুনা প্রদান এবং কেউ রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু বিলম্ব ও ভোগান্তির কারণে সবাই উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। যাত্রীদের অভিযোগ, ‘প্রবাসীরা দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধা। দেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন । অথচ অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে নমুনা প্রদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হচ্ছে। বিষয়টি কষ্টের, ভোগান্তির। এ ব্যাপারে সরকারকে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ জানা যায়, শুক্রবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৫৫৬ জন। এর মধ্যে মহানগরে ২১ হাজার ৪৮ ও ১৫ উপজেলায় ৬ হাজার ৫০৮ জন। ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৩১ জন। এর মধ্যে মহানগরে ২৩৫ ও ১৫ উপজেলায় ৯৬ জন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে