এখন পর্যন্ত দেশে তৃতীয় ডোজের (বুস্টার) টিকা নিয়েছেন প্রায় কোটি মানুষ। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বুস্টার ডোজে গুরুত্বারোপ করার পর দ্রুততম সময়েই এতসংখ্যক মানুষ বুস্টার ডোজ পেয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
জানা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাওয়াদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৯৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯৯ জন বুস্টার ডোজ পেয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, দেশে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ৭৮ লাখ ৭৯ হাজার ১৬৬ জন। এছাড়া দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৪৩ হাজার ৯৫২ জন মানুষ। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
গত ১ নবেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার ১৫৬ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ২৭ হাজার ৯৬ জনকে। প্রথম ডোজ পাওয়াদের মধ্যে এখনও দ্বিতীয় ডোজ টিকা পায়নি ১৬ লাখ ৫২ হাজার ৬০ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে, শনিবার (২ এপ্রিল) সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৯৬০ জন শিক্ষার্থীকে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক লাখ ২ হাজার ২২২ জনকে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৯ হাজার ৪৩৮ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদের জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
দেশে করোনা টিকার নিবন্ধন শুরু হয় ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ১৮ বছর বয়সী যেকোনো মানুষ এখন টিকা নিতে পারছেন।