বিষণ্নতা সাহায্য করবে যে ৫টি উপায়

0
165
Spread the love

আজকাল অনেক মানুষই বিষন্নতায় ভোগে। বিষন্নতাকে এক ধরণের মানসিক অসুখ বলা যেতে পারে। যারা বিষন্নতায় ভুগছেন তাদের উচিত বন্ধু, পরিবার বা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। তবে এর পাশাপাশি নিজেকেও এমন কিছু করতে হবে যা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে।

কারণ বিষন্নতায় ভুগে অনেকই অনেক সময় ভুল সিন্ধান্ত বা কাজ করে ফেলতে পারেন। তাই বিষন্নতায় ভুগলে সতর্ক হয়ে যান। এবার চুলুন জেনে নেওয়া যাক বিষন্নতা থেকে মুক্তির ৫টি উপায়:

১. ব্যায়াম করুন 

প্রতিদিন ১৫-৩০ মিনিট হাঁটা, খেলাধুলা বা যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। বর্তমানে শরীরচর্চা হিসাবে জুম্বা নাচ খুব জনপ্রিয়।

হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিরা নিজেকে ঠিক রাখতে বন্ধুদের সাহায্য নিতে পারেন । তাদের সঙ্গে ব্যায়াম করতে পারেন , এতে মন প্রফুল্ল থাকবে।
২. স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং প্রচুর পানি পান করুন
বিষন্নতায় ভোগা ব্যক্তিদের খাবারে অরুচি দেখা দিতে পারে। আবার উল্টোও ঘটতে পারে যেমন, অতিরিক্ত খাওয়া।

আপনি যেটাই খাবেন তা আপনার মন ও শরীরের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সঠিক খাবার নিশ্চিত করতে হবে। ফল, শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। খাদ্য তালিকা থেকে  অতিরিক্ত শর্করা ও চিনি যুক্ত খাবার সীমিত করতে হবে। বেশিক্ষণ খালিপেটে থাকা যাবে না।

ক্ষুধা না লাগলেও হালকা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার বারবার খেতে হবে। দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করতে হবে।
 

৩.নিজেকে প্রকাশ করুন

বিষন্নতায় ব্যক্তির সৃজনশীলতা প্রকাশে বাধা পায়। ব্যক্তি নিজেকে প্রকাশ করতে পারে না। ফলে তার প্রতিভা সৃজনশীলতা নিজের মধ্যেই আবদ্ধ হয়ে থাকে। তাই আপনার যা করতে ভাল লাগে তাই করুন। হতে পারে ক্রাফটিং, পেইন্টিং বা নাচ গান ইত্যাদি। আপনার হাসিখুশি থাকার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। মজার কোন সিনেমা দেখতে পারেন। ভালো কোন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। এতে মন ভালো থাকবে।

৪.অতিরিক্ত চিন্তা না করা

সমস্যা নিয়ে প্রিয় কোন বন্ধুর  বা মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তবে হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিরা অনেক বেশি অভিযোগ,দোষারপ প্রবণ হয়ে পরে। তাই বন্ধু বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। যত্নশীল বন্ধুদের কাছে চিন্তাভাবনা, অনুভুতি প্রকাশ করুন । তবে সমস্যা নিয়ে অতিরিক্ত আলাপ না করাই ভালো। নেতিবাচক বিষয় গুলো এড়িয়ে ইতিবাচক বিষয়ে ভাবুন এবং কথা বলুন ।

৫. ভালো জিনিসের প্রতি মনযোগ দেন

বিষন্নতা মানুষের চিন্তাভাবনার ওপর প্রভাব ফেলে। সবকিছুই তখন নেতিবাচক, হতাশাজনক, আশাহীন মনে হতে পারে। তাই আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে প্রতিদিন ৩টি করে ভালো বিষয় নিয়ে চিন্তা করুন। সর্বপরি নিজের প্রতি সহানুভূতি দেখান । নিজেকে একা না ভেবে সাহসের সঙ্গে কঠিন সময়ের মোকাবেলা করুন। ধৈর্য ধরে নিজেকে সময় দিন ।

সূত্র : টিনস হেল্থ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে