করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে পিছিয়ে যাওয়া মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আগামী এপ্রিলে নেওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় এবার আসন বাড়ছে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্কুল-কলেজে পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। কিন্তু স্বাস্থ্য শিক্ষা খাতে সব ধরনের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে আমরা আশা করছি পরীক্ষা নিতে পারব।”
মেডিকেলে এবার আসন বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এই করোনাভাইরাসের মধ্যেও আমরা ১ হাজারের মতো সিট বাড়িয়েছি। গত দশ বছরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোনো সিট বাড়ানো হয়নি। এটা আমরা বাড়িয়েছি, প্রায় ১১০০ সিট বাড়িয়েছি। আমাদের ছেলে-মেয়েরা নতুন করে ভর্তি হতে পারবে। বিনা পয়সায় তারা পড়ালেখা করতে পারবে।”
অন্য বছরগুলোতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়।
সাধারণত অক্টোবরের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশ করা হয়। ১০ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন শেষে পাঠদান শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এবার মহামারীর কারণে সবকিছুই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
মহামারীর মধ্যে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এইচএসসি ও সমমানের ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর মূল্যায়ন করা হচ্ছে জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর বলেন, ২৮ জানুয়ারি এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতে পারে। সে হিসেবে এপ্রিলে পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
“এর মধ্যে যদি রেজাল্ট হয়ে যায় তাহলে আমরা পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দিব।”
এ বছর সরকারি মেডিকেল কলেজে এক হাজারের বেশি আসন বাড়ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসন সংখ্যা বাড়লেও তা ১১০০ না।
“আসন বাড়ছে তবে এত না। মন্ত্রী মহোদয় কোন ফিগারটা বলেছেন আমি তো বলতে পারব না।”
গত ১৯ নভেম্বর দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তিতে ২৮২টি আসন বৃদ্ধির কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
দেশের ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজে চার হাজারের কিছু বেশি শিক্ষার্থী এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছিলেন। এখন আসন বাড়ায় আরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের আটটি বিভাগে ক্যান্সার, কিডনি ও কার্ডিয়াক এই তিনটি রোগের চিকিৎসায় হাসপাতাল তৈরির কাজ চলছে। এছাড়া তিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কাজও চলমান আছে।