রক্তদানের আগে যা জানা জরুরি

0
203
Spread the love

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে ২০০৪ সাল থেকে  বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। বেশিসংখ্যক মানুষকে নিয়মিত রক্তদানে উৎসাহিত করা, নিরাপদ রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং রক্তদাতাদের জীবন রক্ষাকারী অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানানোর জন্য প্রতিবছর ১৪ জুন ‘বিশ্ব রক্তদাতা দিবস’ পালন করা হয়। নিরাপদভাবে রক্তদান করতে চাইলে বেশ কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

যা জানা জরুরি

–   রক্তদানের আগে নিজের সুস্থতা যাচাই করা প্রয়োজন।

বয়স, ওজন, সাধারণ স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ইতিহাস ও জীবনযাত্রার (যেমন- সাম্প্রতিক ভ্রমণ, ওষুধের ব্যবহার ইত্যাদি) মতো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে আপনি রক্ত দিতে পারবেন কি না। রক্তদানের প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণে আপনি সক্ষম কি না তা জানতে স্থানীয় রক্তদান কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

–   রক্তদানের আগে নিজেকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করা জরুরি। আয়রনসমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে ২০০৪ সাল থেকে  বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। বেশিসংখ্যক মানুষকে নিয়মিত রক্তদানে উৎসাহিত করা, নিরাপদ রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং রক্তদাতাদের জীবন রক্ষাকারী অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানানোর জন্য প্রতিবছর ১৪ জুন ‘বিশ্ব রক্তদাতা দিবস’ পালন করা হয়। নিরাপদভাবে রক্তদান করতে চাইলে বেশ কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

যা জানা জরুরি

–   রক্তদানের আগে নিজের সুস্থতা যাচাই করা প্রয়োজন।

বয়স, ওজন, সাধারণ স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ইতিহাস ও জীবনযাত্রার (যেমন- সাম্প্রতিক ভ্রমণ, ওষুধের ব্যবহার ইত্যাদি) মতো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে আপনি রক্ত দিতে পারবেন কি না। রক্তদানের প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণে আপনি সক্ষম কি না তা জানতে স্থানীয় রক্তদান কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।-   রক্তদানের আগে নিজেকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করা জরুরি। আয়রনসমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খান।

প্রচুর পরিমাণে তরল, বিশেষত পানি পান করে নিজেকে হাইড্রেট করুন। রক্তদানের কিছুক্ষণ আগে চর্বিযুক্ত খাবার বা অ্যালকোহল খাওয়া এড়িয়ে চলুন।-   নিজের পরিচয় শনাক্তকরণে ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট রক্তদান কেন্দ্রে নিয়ে যান। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ডাক্তার বা কর্মীরা আপনার স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং করে দেখবেন।

আপনার রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন, তাপমাত্রা এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পরীক্ষা করবেন। আপনার মেডিক্যাল হিস্ট্রি সম্পর্কে তাঁরা প্রশ্ন করতে পারেন।
–   রক্তদান কেন্দ্রগুলো রক্তদাতার সুরক্ষা নিশ্চিতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। তার পরও খেয়াল করুন কর্মীরা প্রতিটি দানের জন্য জীবাণুমুক্ত, ওয়ান টাইম সুচ ব্যবহার করছেন কি না। নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কর্মীদের জিজ্ঞাসা করতে দ্বিধা করবেন না।

–   রক্তদান প্রক্রিয়া সঠিকভাবে শেষ করতে সাধারণত প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। আপনি আরামে বসে থাকবেন এবং একজন প্রশিক্ষিত ফ্লেবোটোমিস্ট রক্ত সংগ্রহের জন্য আপনার বাহুতে একটি সুই ঢুকিয়ে দেবেন। রক্তের পরিমাণ সাধারণত ৩৫০-৫০০ মিলিলিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা রক্তদানের প্রকারের (সম্পূর্ণ রক্ত বা নির্দিষ্ট উপাদান) ওপর নির্ভর করে।

–   রক্তদানের পরে অল্প সময়ের জন্য বিশ্রাম করুন। খাবার খান এবং প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। কয়েক ঘণ্টার জন্য ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।

–   কর্মীরা আপনাকে অনুদান-পরবর্তী যেকোনো প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন। রক্তদানের পরে আপনি যদি কোনো ব্যথা অনুভব করেন তবে রক্তদান কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

–  স্ক্রিনিংপ্রক্রিয়া চলাকালীন সর্বদা সৎ থাকতে হবে। কারণ আপনার স্বাস্থ্য এবং প্রাপকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে কি না তা আপনার দেওয়া সঠিক তথ্যের ওপর নির্ভর করবে।

 

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. মুহিত মুকতাদির
সহকারী সমন্বয়কারী
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিভাগ
দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশন, রংপুর।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে