গ্রীষ্মকালে অ্যালোভেরা ত্বকে খুব ভালো কাজ করে, কারণ এর ৯৮ শতাংশই পানি। অ্যালোভেরা ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল’, ‘অ্যান্টিসেপ্টিক’, ‘অ্যান্টি ইনফ্লামাটরি’, ‘অ্যান্টি অক্সিডাইজিং’, ‘অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল’ ও ‘অ্যাস্ট্রিজেন্ট’ সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা ব্যবহারে চোখের চারপাশের কালো দাগ, ব্রণের দাগ, বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর হয় এবং লোমকূপও সংকুচিত হয়। ত্বকের ধরন যেটাই হোক না কেন, অ্যালোভেরা সজীব রাখে ত্বক। অ্যালোভেরা ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নেও খুব ভালো কাজ করে। অ্যালোভেরার অ্যান্টি অক্সিডাইজিং ক্ষমতা রোদে পোড়াভাব কমাতে সহায়তা করে। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বক মেরামত এবং নিরাময় করে। জেনে নিন অ্যালোভেরার জেল কীভাবে ব্যবহার করবেন…
গোলাপ ও অ্যালোভেরা
ঘরে তৈরি অ্যালোভেরা ও গোলাপের টোনার ত্বকের শুষ্কতা কমাতে সহায়তা করে। গোলাপজলের সঙ্গে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে প্রতিদিন গোসলের পরে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
অ্যালোভেরা ও লেবু
একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। একটি ত্বকে ব্যবহারের পর ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ মিস্রণটি যাতে চোখে না লাগে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা ও টকদই
একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ও ২ চা চামচ টকদই নিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এটি ত্বকে ব্যবহারের পর কিছুক্ষণ পর ধুয়ে নিন। ত্বক যদি শুষ্ক হয় তবে এতে মধুও মেশাতে পারেন।
অ্যালোভেরা ও অলিভ অয়েল, ওটমিল
১ চা চামচ ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ১/২ চা চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চা চামচ ওটমিলের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকে ব্যবহারের পর ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একবার এটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারে নিজেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।
অ্যালোভেরার আইস কিউব
ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল এর বরফ বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারের ফলে ব্রণের সমস্যা দূর হবে।
সপ্তাহে দুবার ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। ফেমিনা ডট ইন তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘দ্য হেলথ রেঞ্জার’ হিসেবে খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের মাইক অ্যাডামসের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, বহু ভেষজ উপাদানের মধ্যে অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ ও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা সবচেয়ে চমকপ্রদ।