আমাদের খুব পরিচিত এবং সাধারণ সমস্যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সর্দি-কাশি। বিশেষ করে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে আমাদের অনেকেরই জ্বর-সর্দি-কাশি হয়েই থাকে। আর এসব মৌসুমি রোগে স্বস্তি পেতে পারেন ঘরোয়া কিছু খাবার খেয়ে।
ভারতের পুষ্টিবিদ ডা. অর্চনা বাত্রা এ বিষয়ে বলেন, কিছু খাবারের মধ্যে অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট থাকার কারণে সেগুলো আমাদেরকে মৌসুমী রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
এছাড়া এসব খাবার আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও অনেক কার্যকরী। তাই নিজের প্রতি আরেকটু যত্ন নিতে আজকে জানুন এমন কিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো আপনার সর্দি-কাশির সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করবে—
১. মধু
মধু আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যৌগ থাকে। আর প্রচীনকাল থেকেই এটি ক্ষত সারতে ব্যবহার করা হত। বাত্রা বলছেন, মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং শরীরকে হাইড্রেট করতে ভূমিকা পালন করে।
এ ছড়া এটি কাশি দূর করতে এবং কাশিতে গলা ব্যথার সমস্যা দূর করতে অনেক ভাল কাজ করে।
২. আদা
আদা একটি প্রাকৃতিক প্রদাহবিরোধী ওষুধের মতো কাজ করে এবং এটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও ক্যান্সারবিরোধী। কাঁচাআদা গরম স্যুপের বা চায়র সঙ্গে খেলে তা সর্দি-কাশি দূর করতে অনেক ভাল কাজ করে। এ ছাড়া আদা বিভিন্ন ধরনের সংক্রমন এড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৩. রসুন
প্রচীনকাল থেকে ঔষধি হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসা রসুনে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাংগাল বৈশিষ্ট রয়েছে। বাত্রার বলছেন, এটি মেডিক্যালি প্রমাণিত যে, নিয়মিত রসুন খাওয়ার ফলে সর্দি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৪. চিকেন স্যুপ
এটি হজম হয় সহজেই এবং সকল প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন, প্রোটিন ও ক্যালোরি দিয়ে পরিপূর্ণ। তাই এটি শরীরকে পর্যাপ্ত অনুপাতে পুষ্টি দিয়ে এবং শরীরে তরল সরবরাহ করে জ্বর সর্দি থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে।
৫. কলা
অনেকেরই ভুল ধারনা আছে যে ঠাণ্ডা লাগায় কলা খাওয়া যায় না আর যেটি সম্পূর্ণই ভুল। বরং কলাতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়াতে এবং পুষ্টি ও ক্যালোরি সরবরাহ করে ঠাণ্ডা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে।
৬. সবুজ শাক-সবজি
শরীরের জন্য সবুজ শাকসবজি অনেক উপকারী এটি কমবেশি আমাদের সবারই জানা। আর এসবে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন রোগ নিরামিয়েও সহায়তা করে।
বাত্র বলেন, সবুজ শাক-সবজি শরীরের ক্যালোরি পড়াতে এবং সাধারণ ঠাণ্ডা নিরাময়ে সহায়তা করে।
৭. দই
দইয়ে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন এবং উপকারী প্রবায়োটিক্স ভরপুর থাকে। আর এ কারণে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।