স্ট্রোকের ঝুঁকিতে ৫ শতাংশ মানুষ

0
949
Spread the love

অনেকের ধারণা স্ট্রোক হচ্ছে হৃদযন্ত্রের কোনো সমস্যা। এটি আসলে মস্তিষ্কের একটি রোগ।  স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া মানেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ। বাংলাদেশে স্ট্রোকের হার প্রতি হাজারে ১২জন, আর প্রায় ৫ শতাংশ মানুষ স্ট্রোকের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অধ্যাপক আতা এলাহী খান  সেমিনার হলে এক কর্মশালায় বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন। বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটির সহযোগিতায় ছিল রেডিয়ান ফার্মাসিউটিক্যালস।

কর্মশালা পূর্ব সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউরোসাইন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। এ ছাড়া ঢামেক নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. অসিত চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ, ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ  কে এম নাসির উদ্দিন, নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার  জেনারেল নাজমুল হক প্রমুখ।

মূল প্রবন্ধে রফিকুল ইসলাম বলেন, স্ট্রোক বিশ্বে দ্বিতীয় প্রধান মৃত্যুর কারণ। এ কারণে লক্ষণ দেখার সঙ্গে সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। স্ট্রোকের লক্ষণ সম্পর্কে তিনি বলেন, মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া, চোখে ঘোর দেখা, চেহারা পরিবর্তন হওয়া, বাহু অবশ হওয়া, কথা বলার সময় জড়তা চলে আসা ইত্যাদি। এসব লক্ষণ দেখা দিলে গোল্ডেন টাইমের মধ্যে (৩ থেকে ৪ ঘণ্টা)  চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ঢাকা মেডিকেল স্ট্রোকের চিকিৎসার  ক্ষেত্রে অনেক অগ্রসর হয়েছে। ইমার্জেন্সি বিভাগের পাশে একটা সিটি স্কান ও ক্যাথ ল্যাব বসানো হয়েছে। আর এই ক্যাথ ল্যাব স্থাপনের পর চিকিৎসা সহজ হয়েছে।

কর্মশালায় ঢাকা মেডিকেলের নিউরোসার্জেন্সি বিভাগের শিক্ষকরা বলেন, ১৯৮০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইউরোপ বা আমেরিকাতে ৪২ শতাংশ রোগী কমেছে। কিন্তু অনুন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই রোগ শতভাগ বেড়েছে।

স্ট্রোকের প্রতিকার সম্পর্কে শিক্ষকরা বলেন, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো। স্ট্রোক সম্পূর্ণ প্রতিরোধ ও নিরাময়যোগ্য। স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে ফাস্টফুড খাবার ত্যাগ করা, ধূমপান ত্যাগ করা, ব্লাড পেশার আর সুগার থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, লক্ষণ দেখার সঙ্গে সঙ্গে অবহেলা না করে হাসপাতালে নেওয়া ও সর্বোপরি জনসচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে