অনেক ক্ষেত্রেই শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য রোগকে অ্যাজমা বা হাঁপানি হিসেবে শনাক্ত করা হয়। হাঁপানি রোগীদের সঠিক রোগ নির্ণয়ের বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ
হাঁপানি হলো শিশু, বয়স্ক সবার অসংক্রামক রোগ। এর প্রকোপ বেশি শিশুদের মধ্যে। ফুফফুসের ছোট ছোট বায়ুপথে প্রদাহ হলে এবং এসব পথ সংকীর্ণ হলে হাঁপানি বা অ্যাজমা হয়।
রোগ নির্ণয়ে ভুল
অ্যাজমার জন্য ইনহেলার ওষুধ রোগের আক্রমণ ঠেকাতে জরুরি।
আরো কিছু শ্বাসযন্ত্রের অসুখের উপসর্গও অ্যাজমার মতো। অথচ এমন ক্ষেত্রে দরকার ভিন্ন চিকিৎসা। তাই ক্রনিক রোগটির সঠিক নির্ণয় দরকার।
একটি স্টাডিতে দেখা গেছে, তিনজন ব্যক্তি, যাদের অ্যাজমা নির্ণয় হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন আসলে অ্যাজমায় আক্রান্ত নয়।
রোগের ভুল ডায়াগনসিস হয়; কারণ প্রত্যেক রোগীর এক রকম ট্রিগার থাকে না, এক রকম উপসর্গও থাকে না।
দুই কদম হেঁটেই একটু জিরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা হাঁপানির উপসর্গ না-ও হতে পারে। শুয়ে-বসে থাকা অবস্থায়ও হাঁপানি শুরু হতে পারে।
হাঁপানির প্রধান কারণগুলো হলো-
* তামাক সেবন
* ধুলাবালি, পোকা
* বায়ুদূষণ
* তেলাপোকা
* ইঁদুর
* ছত্রাক
* পারিবারিক ইতিহাস
* অ্যালার্জি
* কিছু খাবার
* পেশাগত কারণ
* প্রধান ট্রিগার হলো অ্যালার্জি, বায়ুতে থাকা দূষিত কণা, বায়ুদূষণ
লক্ষণ
* হাঁচি
* কাশি
* কফ
* বুকে শোঁ শোঁ শব্দ
* রাতে বা সকালে শ্বাস নিতে কষ্ট
চিকিৎসা
এসব উপসর্গ থাকলে দেখাতে হবে রেসপিরেটরি মেডিসিন স্পেশালিস্টকে।
তিনি ইতিহাস নেবেন রোগীর। তিনি রক্তের সুগার পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। পালমোনারি ফাংশন টেস্ট বা পিএফটি শ্বাসযন্ত্রের টেস্টও করতে দিতে পারেন। শ্বাসকষ্ট হওয়ার আগে আর পরে দেওয়া হয় শ্বাসকষ্ট কমানোর ওষুধ।
আর ফুসফুসের কার্যকারিতার তারতম্য আছে কি না তা পরীক্ষা করতে দেখা হয় রোগী কী পরিমাণ বাতাস ভেতরে নিল আর কী পরিমাণ বাতাস কত দ্রুত ছাড়ল।
* হাপানি থাকলে ঋতু বদলের সময় সতর্ক হোন।
* যেসব খাবার খেলে হাঁপানি বাড়ে সেগুলো বাদ দিন।
* পশুর লোম, কার্পেটের ধুলা, পোকা ও পতঙ্গ থেকে সাবধান থাকতে হবে।
* বাইরে গেলে সঙ্গে করে ইনহেলার নিন।
* অপ্রচলিত চিকিৎসা বা টোটকা অনেক সময় বিপদের কারণ হতে পারে।