আজ বিশ্ব প্রিম্যাচুরিটি দিবস

0
687

আজ (১৭ নভেম্বর) বিশ্ব প্রিম্যাচুরিটি দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে দিবসটি। দিবসটির শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। ২০১৩ সালের এ দিনে দিবসটি পালিত হয়েছিল পৃথিবীর ৬০ টি দেশে একসাথে।

সাধারণত একজন নবজাতক ৪০ সপ্তাহ বা ২৮০ দিন মায়ের গর্ভে থাকার পর জন্মগ্রহণ করে। এ সময় শিশু পৃথিবীতে এসে বেঁচে থাকার মতো পরিপক্বতা ও শক্তি অর্জন করে। কখনো কখনো সময়ের আগেই শিশু পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয়। ৩৭ সপ্তাহ বা ২৫৯ দিন পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেওয়া শিশুকে বলা হয় প্রিম্যাচিউর নবজাতক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিউমোনিয়ার পর পৃথিবীজুড়ে নবজাতক-মৃত্যুর বড় একটি কারণ হল এই প্রিম্যাচিউর বার্থ অর্থ্যাৎ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শিশুর জন্ম। প্রায় ৪৫ শতাংশ সদ্যজাতেরই মৃত্যু ঘটে সময়ের পূর্বে জন্ম নেয়ার ফলে।

সারা বিশ্বে প্রতিবছর এক কোটি ৫০ লাখ নবজাতক ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগে জন্ম লাভ করে। অর্থাৎ প্রতি ১০টি শিশুর মধ্যে একটি প্রিম্যাচিউর। তাদের মধ্যে অনেকেই থাকে স্বল্প ওজনের বা দুই হাজার ৫০০ গ্রামের কম।

দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশের মতো বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর হার, বিশেষ করে নবজাতকের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। আমাদের দেশে নবজাতকের মৃত্যুর প্রধান কারণ প্রিম্যাচিউরিটি বা সময়ের আগে জন্ম নেওয়া। পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের মৃত্যুর প্রধান কারণ নিউমোনিয়া এবং দ্বিতীয় কারণ প্রিম্যাচিউরিটি। যেসব শিশু বেঁচে থাকে, তারাও সারা জীবন শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে বেঁচে থাকে।

এসব নবজাতকের ব্যাপারে স্বাস্থ্যকর্মী, সমাজকর্মী, মা, বাবা, আত্মীয়স্বজন ও আমাদের সচেতন হওয়ার এখনই সময়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে