আবার ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর, স্বাস্থ্যবিধি মানা ও চিকিৎসা নিশ্চয়তা দিতে হবে।

0
868

করোনা সংক্রমণ এখনো কমেনি। এ ভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্বই স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিল। এখন ধীরে ধীরে সব দেশেই লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে। এত কিছুর পরও দেশের জনগণের মধ্যে সচেতনতা কমই দেখা যাচ্ছে বলে তথ্য উঠে আসছে। আমাদের দেশে গত কাল করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের, শনাক্ত ১২৮২ জনের। করোনা মহামারীর শুরুর দিকে সামান্য জ্বর সর্দি-কাশি হলেই উৎকন্ঠিত মানুষ ছুটছিলেন চিকিৎসার জন্য। তখন পরীক্ষা করে অনেকের শরীরে করোনাভাইরাস এর অস্তিত্ব না মেলায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক একটু কমেছিল। যদিও তখনও ব্যাপকহারে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটার ফলে সাবধনতা ছিল সবার মধ্যে। ফলে মাঝের সময়টাতে সাধারণ ফ্লু বা জ্বর সর্দি কাশির প্রকোপ একটু কমে আসে। এতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে মানুষের মধ্যেও তৈরি হয়েছে গা-ছাড়া মনোভাব। কিন্তু এখন ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আবারও ঘরে ঘরে বেড়েছে সর্দি-জ্বর শ্বাসতন্ত্রের রোগী। শিশু, নারী থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ এখন সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে এ নিয়ে আবারও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে সঙ্গে বেড়েছে করোনার সংক্রমণও।

আবার ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর, স্বাস্থ্যবিধি মানা ও চিকিৎসা নিশ্চয়তা দিতে হবে

সাধারণভাবেই শীতের সময় মানুষ সর্দি -জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, ‌টনসিল, ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা,শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আবার ঋতু পরিবর্তনের সময় এ ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তবে গ্রীষ্মকালে এ ধরনের রোগী বেশি হয় না। কিন্তু এখন অনেক মানুষ সর্দি-জ্বর শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিগত বছরগুলোতে এ সময় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিলেও এখন লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইনে ফোন করে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৩ হাজার ৫৪ জন। একই সময়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, প্রাইভেট চেম্বার সহ গ্রামীণ পর্যায়ে থাকা ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এ সময় জানা জরুরী, করোনার লক্ষণ আসলে কেমন হতে পারে। সাধারণ সর্দি-জ্বর, ফ্লু আর করোনার লক্ষণ গুলো কিন্তু প্রায় একই ধরনের। তাই সাধারণ সর্দি জ্বর বা ফ্লুর উপসর্গের ভয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।

“মনে রাখতে হবে, এখনই যদি সচেতনতার লাগাম টেনে না ধরা হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে। কারণ শীতে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে আসছেন।”

তাই সচেতনতার অংশ হিসেবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য প্রচার বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে