ইউরোপের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির ‘তৃতীয় ঢেউ’ আঘাত করতে শুরু করেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই হুমকির মুখে লাখ লাখ লোকের ওপর নতুন করে লকডাউন আরোপ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মনে করছেন, ইউরোপে করোনার টিকাদানে ধীরগতি এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ব্যবহার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ফলে সংক্রমণ আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ফ্রান্সের ১৬টি এলাকার ২ কোটি ১০ লাখ লোকের ওপর শুক্রবার মধ্যরাত থেকে আংশিক লকডাউন আরোপ করা হয়েছে।
এর মধ্যে রাজধানী প্যারিসও রয়েছে। সেখানকার স্টেশনগুলো থেকে রেলবোঝাই লোককে লকডাউন শুরুর আগেই শহর ত্যাগ করতে দেখা গেছে। ব্রিটানি কিংবা লিয়ঁর মতো যেসব জায়গায় সংক্রমণ কম – তারা সেখানে চলে যাচ্ছেন।
তবে ফ্রান্সের এই নতুন বিধিনিষেধ আগের লকডাউনের মতো অতোটা কঠোর নয়। এবার মানুষকে বাজার ও ব্যায়াম করতে দেওয়া হচ্ছে।
ফ্রান্সে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত চার কোটি ২০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
ওদিকে, পোল্যান্ডে শনিবার থেকে তিন সপ্তাহের এক লকডাউন চালু হয়েছে। জরুরি নয় এমন সব দোকানপাট, হোটেল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ক্রীড়া ক্ষেত্রগুলো তিন সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার ব্রিটিশ ধরনটি খুবই সংক্রামক বলে লকডাউন দিতে হচ্ছে।
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাব মতে, মোট সংক্রমিত লোকের শতকরা ৬০ ভাগ এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। পোল্যান্ডে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪৯ হাজার।
জার্মানিতেও সংক্রমণ দ্রুতহারে বাড়ছে। চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মারকেল জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে লকডাউন আরোপের সম্ভাবনার কথা বলেছেন। বেলজিয়াম ও সুইটজারল্যান্ডে করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করার পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে ব্রিটেন, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসহ একাধিক ইউরোপিয়ান দেশে লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভও হচ্ছে। এগুলোতে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও হয়েছে।
এ্ই বিক্ষোভের সময় জলকামান নিক্ষেপ, পুলিশের লাঠিচার্জ ও বেশ কিছু লোককে আটকের ঘটনা ঘটেছে।
খবর বিবিসি বাংলার।