উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে যে সব খাবার

0
841

হাইপারটেনশন (হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ নামে অধিক পরিচিত) হলো একটি জটিল দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক) স্বাস্থ্যগত বিষয়, যার ফলে শরীরের রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। উচ্চ রক্তচাপের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ এবং উপসর্গ নেই, তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা, অতিরিক্ত ঘুমের প্রবণতা, দ্বিধাগ্রস্থতা, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে। আট থেকে ৮০, যেকোনো বয়সেই হাই ব্লাড প্রেসার হতে পারে।

যাদের হাই ব্লাড প্রেসার আছে নিয়ম করে ওষুধ খেলে ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করলে তা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খেলে কমে যেতে পারে উচ্চ রক্তচাপ। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই খাবার।

আঙুর

পটাশিয়াম প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক উপাদান, যা কিডনি থেকে সোডিয়াম নিঃসরণ করে ও রক্তনালী শিথিল করে দেয়। পটাশিয়াম ও ফসফরাসে পরিপূর্ণ আঙুর হাই ব্লাড প্রেসার কমিয়ে দিতে পারে।

কলা

আগেই বলা হয়েছে, হাই ব্লাড প্রেসার কমিয়ে দিতে পারে। একটি কলায় ৪৫০ মিলিগ্লাম পটাশিয়াম থাকে। তাই প্রতিদিন কলা খেলে হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।

পিয়াজ

পিয়াজ রয়েছে অ্যাডেনোসিন। এটি পেশি শিথিল করে। যা হাইপারটেনশনের রোগীদের চিকিৎসায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে পিয়াজ। কাঁচা পিয়াজ রস বানিয়েও খেতে পারেন। রসের স্বাদ ভালো না লাগলে তাতে সামান্য মধু মেশাতে পারেন।

রসুন

ধমনী ও শিরায় জমে থাকা কোলেস্টেরল গলিয়ে দিতে সাহায্য করে রসুন। এটি রক্তের প্রবাহ বাড়ানো ও ব্লাড প্রেসার কমানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।

ডাবের পানি

ডাবের জলে রয়েছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন সি ও অন্যান্য নিউট্রিয়েন্টস্। এই উপাদানগুলো উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।

তরমুজ

তরমুজে আছে আরজিনাইন। এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে ফেলতে পারে।

ধনেপাতা

প্রচুর পরিমাণে বায়োঅ্যাকটিভ রয়েছে ধনে পাতাতে। যেমন-অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট, অ্যান্টিইনফ্লেমেটারি ও হতাশা কমানোর উপাদান। তাই ধনেপাতা খেলে কমে যেতে পারে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের সমস্যাও।

পাতিলেবু

ভিটামিন সি’তে ভরপুর পাতিলেবু হৃদযন্ত্রের সূক্ষ্ম নলগুলোর শক্তি বাড়ায়। এতে হাইপারটেনশনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে