ঋতু পরিবর্তনের সময়ে সর্দি-কাশি, গায়ে কিংবা গলা ব্যথার কষ্টে অনেকেই ভোগেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে অস্বস্তিকর হচ্ছে গলা ব্যথা। তবে সাধারণত গলার ব্যথা কমাতে বিশেষ কোনো ওষুধের দরকার পড়ে না। ঘরোয়া উপায়েই সেরে উঠে এই অসুখ।
তাই অযথা কষ্ট না পেয়ে গলা ব্যথা সারিয়ে তুলুন এসব টোটকায়। তবে এই ব্যথা যদি মাত্রাতিরিক্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করবেন না। চলুন, জেনে নেওয়া যাক গলা ব্যথা থেকে মুক্তির কয়েকটি ঘরোয়া উপায়।
গলা ব্যথার লক্ষণ
বিভিন্ন কারণে গলায় ব্যথা হতে পারে। এর সাধারণ লক্ষণগুলো হলো গলার ভেতরে জ্বালাপোড়া করা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, ঢোক গিলতে ও কথা বলতে কষ্ট হওয়া, গলার কাছে ফোলাভাব ইত্যাদি। অনেক সময় কাশি কিংবা ঠাণ্ডা লাগার কারণেও গলা ব্যথা থাকতে পারে।
লবণ পানি দিয়ে গার্গল
লবণ পানি দিয়ে গার্গল করলে গলা ব্যথা দ্রুত কমে। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ লবণ মিশিয়ে গার্গল করুন। এভাবে দিনে দুই থেকে তিন বার করলেই দেখবেন গলায় আরাম পাচ্ছেন। এ ছাড়া এভাবে গার্গল করলে শরীরে প্রদাহ কমে।
আদা চা
লবণ পানির মতো গলার ব্যথা ও প্রাকৃতিকভাবে প্রদাহ কমাতে সিদ্ধহস্ত আদা চা। সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা লাগা ও গলা ব্যথায় আরাম দেয় এই চা। সাধারণ চা তৈরি করে তাতে আধ ইঞ্চি আদা দিয়ে দিন। ফুটে গেলে গরম গরম খান। চাইলে এতে গোলমরিচের গুঁড়াও যোগ করতে পারেন। দ্রুত কাজে দেবে।
মধুর পানি
প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে মধু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান। ঠাণ্ডা লাগা ও গলার ব্যথা কমাতে এর ব্যবহার হয়ে আসছে যুগযুগ ধরেই। এক গ্লাস গরম পানিতে দুই চামচ মধু মিশিয়ে খান। দেখবেন, সঙ্গে সঙ্গে অনেকটা আরাম পাবেন। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের মধু খাওয়া ঠিক নয়।
তুলসি পাতার রস
এক গ্লাস পানিতে তুলসি পাতা, আদা, গোলমরিচ ও লবণ ফুটিয়ে নিন। সেটি গরম গরম খান। ঠাণ্ডা লাগা, কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদি দ্রুত কমবে।
হলুদ দুধ
গলা ব্যথা কমাতে হলুদ দুধ দারুণ উপকারী। এক গ্লাস গরম দুধে আধ চামচ হলুদ মিশিয়ে গরম গরম খান। গলার ব্যথা কমবে। হলুদে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান কারকিউমিন। এটি ব্যথা কমাতে এবং ঠাণ্ডা নিরাময়ে খুব উপকারী।
লেবু পানি
এক চামচ লেবুর রস উষ্ণ গরম পানিতে মিশিয়ে খান। গলার ব্যথা কমবে এবং লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।