এইচআইভি-এইডসে আক্রান্ত এক রোগীর দেহে টানা সাত মাসেরও বেশি সময় (২১৬ দিন) ধরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটি ওই রোগীর দেহে রূপ বদলেছে (মিউটেশন) অন্তত ৩২ বার।
সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে এইডস আক্রান্ত ৩৬ বছর বয়সী এক নারীর নমুনা পরীক্ষায় সম্প্রতি এই ফলাফল এসেছে।
এইডস রোগীদের নিয়ে নতুন এক গবেষণায় জিনবিজ্ঞানীরা বলছেন, এইডসে আক্রান্ত রোগীর দেহে দীর্ঘদিন ধরে ভাইরাসের রূপবদল ব্যতিক্রমী এক ঘটনা।
তারা বলছেন, এইডস আক্রান্ত রোগীরা যদি এই করোনাভাইরাসের এই ধরন (ভেরিয়েন্ট) বহন করেন, তবে তাদের মাধ্যমে দ্রুত এই ভাইরাসের বিস্তৃতি ঘটতে পারে, যার পরিণাম হবে ভয়াবহ।
দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানের কোয়াজুলু-নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন গবেষক তুলিও ডা অলিভেইরা এই গবেষণায় যুক্ত রয়েছেন। তাকে উদ্ধৃত করে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম দ্য লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রোগীর নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাস স্পাইক প্রোটিনে ১৩ বার মিউটেশন ঘটেছে, যা রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও দুর্বল করে দিয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৯টি মিউটেশনের ঘটনা ঘটেছে, যা ভাইরাসের রূপ বদলের লক্ষণ। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে পাওয়া আলফা ভেরিয়েন্টের ই৪৮৪কে মিউটেশন ও দক্ষিণ আফ্রিকার বেটা ভেরিয়েন্টের এন৫১০ওয়াই মিউটেশনের ঘটনাও রয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, এইডসে আক্রান্ত রোগীরা দীর্ঘদিন ধরে করোনাভাইরাস বহন করতে পারেন বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি নতুন নতুন ভেরিয়েন্টের সূত্রপাতও হতে পারে।
সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারকে বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামিত রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জুয়ান আমব্রোসিনি বলেন, এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের এই মাত্রা একেবারেই ব্যতিক্রম। এই রোগীরা সংক্রমণের উৎস হতে পারেন।