বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে গত বছর হামে ২ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯ সালে এই রোগে মোট মৃত্যু তিন বছর আগের তুলনায় ৫০ শতাংশের মতো বেড়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত তাদের এক যৌথ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বছর প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২৩ বছরের মধ্যে ২০১৯ সালেই হামে মৃত্যুর পরিমাণ সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছে। ভ্যাকসিনে প্রতিরোধ করা যায় এমন রোগের এ ধরনের উত্থানে স্তম্ভিত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারী অব্যাহত থাকলে শনাক্তকরণ ও টিকাদান ব্যাহত হওয়ায় হামের প্রকোপ আরও বেড়ে যেতে পারে। করোনার মহামারীর কারণে টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত রাখা ২৬টি দেশের অন্তত অর্ধেক দেশে এর মধ্যেই হামের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।
তবে বিশ্বজুড়ে বাড়লেও যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সময়ে হামে মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি; যদিও গত বছর দেশটির ৩১টি রাজ্যে হামে আক্রান্ত এক হাজার ২৮২ জনের সন্ধান মিলেছে। ১৯৯২ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, চলতি মাস পর্যন্ত প্রায় ৯ কোটি ৪০ লাখ মানুষ হামের টিকার বাইরে থাকার ঝুঁকিতে রয়েছেন। চলতি বছর মিজেলস অ্যান্ড রুবেলা ফাউন্ডেশন তাদের বার্তায় মহামারীর মধ্যেই হামের টিকাদান কর্মসূচি চালু রাখার জোর আহ্বান জানিয়েছে। গত বছর ৯টি দেশেই মোট হামে আক্রান্তের ৭৩ শতাংশ পাওয়া গেছে। দেশগুলো হচ্ছে, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, জর্জিয়া, কাজাখস্তান, মাদাগাস্কার, নর্থ মেসিডোনিয়া, সামোয়া, টোঙ্গা ও ইউক্রেন।