জিনগত পরিবর্তনের কারণে ভয়াবহ হতে পারে করোনা পরিস্থিতি। গবেষণায় করোনার নতুন ধরন মিলেছে বলে জানালেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। সোমবার সকালে রাজধানীতে এটোমিক রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এআরবি) আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য জানান মন্ত্রী।
এদিকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আবারো কঠোর হচ্ছে সরকার। নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, রাত ১০টা পর মানুষ বিনা প্রয়োজনে বাইরে যেতে পারবে না। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
১৮ দফা নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- গণ পরিবহণে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিতে হবে। পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে সমাগম সীমিত করতে হবে। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমাবেশ সীমিত করতে হবে। মসজিদ ও উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সরকারি বেসরকারি অফিসে রাখতে হবে অর্ধেক জনবল। বেশি সংক্রমণ এলাকায় যাতায়াত নিষিদ্ধ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গতবছর ৮ মার্চ। সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের উপরে ছিল। এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে আবার শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। মার্চের শুরু থেকে তা আবার ঊর্ধ্বমুখি হয়েছে।