করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পুরুষ পাঁচজন ও নারী তিনজন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ছয়জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান দুজন। এ নিয়ে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
একই সময় নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭৯৯ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ৩৭৪ জনে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু এবং ৮৯৭ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৭৬টি ল্যাবরেটরিতে ২৩ হাজার ৮৮৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ২৩ হাজার ৮১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট এক কোটি ৩৪ লাখ ২৫ হাজার ১৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এদিকে, একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন সাত হাজার ৪৬০ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ২২ হাজার ১২৫ জন।
বিভাগওয়ারি হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের একজন, চট্টগ্রামের তিনজন, রাজশাহীর দুজন, খুলনার একজন, ময়মনসিংহের একজন। তবে সিলেট, রংপুর, বরিশালে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। বয়স অনুযায়ী মৃতদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী একজন, বিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, ষাটোর্ধ্ব দুজন, সত্তরোর্ধ্ব তিনজন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।