করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে: বিল গেটস

0
888
BERLIN, GERMANY - NOVEMBER 14: Bill Gates, co-founder of the Bill & Melinda Gates Foundation and former head of Microsoft, visits the German federal chancellery on November 14, 2013 in Berlin, Germany. Gates was expected to discuss how Germany's government could work with his foundation to meet many of the Millennium Development Goals by 2015, when the country assumes presidency of the G8. (Photo by Michael Gottschalk/Photothek via Getty Images)

মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস সতর্ক করে বলেছেন, আগামী চার থেকে ছয় মাসে করোনাভাইরাসের মহামারি আরও খারাপ হতে পারে। গত রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এসব কথা বলেন তিনি।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি বিল গেটস। করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি ও সারা বিশ্বে বিতরণের বিষয়ে কাজ করছে সংগঠনটি।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিল গেটস বলেছেন, দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, আগামী চার থেকে ছয় মাসে মহামারি পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভাল্যুশনের (আইএইচএমই) আভাসে দেখা গেছে, করোনায় আরও অনেক মানুষের মৃত্যু হবে। মাস্ক পরলে বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা মেনে চললে এই মৃত্যুর একটি বড় অংশ এড়ানো সম্ভব।

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির হার বেড়েছে। করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দেশটির। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ইতিমধ্যে তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এ পর্যন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১ কোটি ৬৮ লাখের মতো।

এর আগে ২০১৫ সালে বিল গেটস সতর্ক করে বলেছিলেন, বিশ্ব একটি মহামারিতে পড়তে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি সিএনএনকে বলেন, ‘আমি মনে করি, সামনের দিনগুলোয় এটা (মহামারি) নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।’

বিল গেটস আরও বলেন, ‘আমি ২০১৫ সালে যখন মহামারির কথা বলেছিলাম, তখন অনেক বেশি মৃত্যুর আশঙ্কা করেছিলাম। সুতরাং, এই ভাইরাস এখনকার চেয়ে আরও বেশি প্রাণঘাতী হবে। আমরা এখনো সেই খারাপ অবস্থায় যাইনি। কিন্তু আমার কাছে একটি বিষয় বিস্ময়কর মনে হয়েছে, মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব অর্থনীতির ভয়াবহতা নিয়ে পাঁচ বছর আগে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে অর্থনীতির।’

বিল গেটস বলেন, টিকা উদ্ভাবনে গবেষণার জন্য তাঁর ফাউন্ডেশন অর্থায়ন করছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খুবই তৎপর রয়েছি। আমরা একটি অংশীদারত্বের (কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন) অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পরেই আমরা সেখানে বেশি অর্থায়ন করেছি।’

বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি, নাগরিক সংগঠনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়নে পরিচালিত হয় কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন। সংগঠনটির কাজ হচ্ছে টিকা তৈরিতে গবেষণায় অর্থসহায়তা ও টিকা তৈরি হলে তা বিশ্বজুড়ে জরুরি ভিত্তিতে পৌঁছে দেওয়া।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে