ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রয়োজনীয় টিকা উৎপাদনের অনুমোদন পেয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক। ২৮ ডিসেম্বর ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর এ অনুমতি দেয়। করোনার টিকা প্রাপ্তি নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে গ্লোব প্রয়োজনীয় টিকা উৎপাদনের অনুমোদন পেল।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ড. আসিফ মাহমুদ গতকাল বলেন, ‘যে কোনো ওষুধ উৎপাদনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমতি প্রয়োজন হয়। অধিদফতর ২৮ ডিসেম্বর গ্লোব বায়োটেককে এ টিকা উৎপাদনে অনুমতি দিয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের উদ্ভাবিত টিকার হিউম্যান ট্রায়াল হবে তা আগামী সপ্তাহে জানানো হবে। সে প্রটোকল অনুযায়ী আমরা প্রয়োজনীয় ডোজ উৎপাদন করব।’
গত বছরের ২ জুলাই করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) টিকা উদ্ভাবনের দাবি করে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোনো প্রতিষ্ঠান এ টিকা উদ্ভাবনের দাবি করল। প্রতিষ্ঠানটি গত ৮ মার্চ এ টিকা তৈরির কাজ শুরু করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের নাম আছে। যে ১৫৬টি টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পূর্বাবস্থায় আছে তার মধ্যে গ্লোবের তিনটি রয়েছে। গত বছরের ১৮ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার প্রধান আসিফ মাহমুদ জানিয়েছিলেন, প্রাণীর ওপর তাদের টিকার সফল পরীক্ষা হয়েছে। তারা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওই সময় গ্লোব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, তারা তিনটি টিকা উদ্ভাবন করেছেন। এগুলো হলো ডি৬১৪ ভেরিয়েন্ট এমআরএনএ, ডিএনএ প্লাজমিড ও অ্যাডেনোভাইরাস টাইপ-৫ ভেক্টর।