খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং সবসময় সুস্থ থাকতে খেজুর খাওয়ার বিকল্প নেই। খেজুরের প্রাকৃতিক মিষ্টি থাকায় একে চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসাবে খাওয়া যেতে পারে। খেজুরের রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং ম্যাঙ্গানিজ সহ বিভিন্ন পুষ্টির সমাহার।
এই ফলটি হজমের সমস্যা দুর করে, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়।
খেজুর যেসব রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে:
১. কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে খেজুর ভীষণ উপকারি। খেজুর পানিতে ভিজিয়ে (সারা রাত) সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। খেজুর নরম এবং মাংসল যা সহজেই হজম হয়।
২. খেজুর হার্টের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম, যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
৩. খেজুর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায় এবং উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৪. খেজুর হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে। ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়তা করে। আর খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে মজবুত করে। সেই সঙ্গে মাড়ির স্বাস্থ্যও সুরক্ষিত রাখে।
৫. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে খেজুর অনেক ভালো কাজ করে।
এতে রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
৬. খেজুর খেলে নারী ও পুরুষ উভয়েরই যৌন শক্তি বাড়ে।
৭. খেজুর খাওয়ার ফলে ক্লান্তি দূর হয় এবং কর্মশক্তি বাড়ে। এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে খেজুর খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৮. দৈনিক ৪-৫টি করে খেজুর খেলে দ্রুত শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে। এতে উপস্থিত ভিটামিন ও প্রোটিন রয়েছে, যা ওজন বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৯. রক্তাল্পতার জন্য সেরা ঔষধ হিসেবে কাজ করে খেজুর। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ। খেজুর দেহের আয়রণের অভাব পূরণ করে এবং রক্তস্বল্পতা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
১০. নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচায়। ত্বকের নানা সমস্যা থেকেও খেজুর মুক্তি দেয়। ত্বকের বলি রেখা নিয়ন্ত্রণ করতেও খেজুর উপকারী।
সূত্র : ফার্মইজি