গর্ভকালে ডায়াবেটিস রোগীর রোজার ক্ষেত্রে করণীয়

0
63
prediabetes

গর্ভবতী নারীদের রোজা রাখার ব্যাপারে ইসলামে শিথিলতা আছে। যাঁদের স্বাস্থ্যহানি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে অর্থাৎ অনাগত সন্তান ও মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে, তাঁদের রোজা পরে করে নিতে বলা হয়েছে। তার পরও আমরা দেখি অনেক নারী গর্ভাবস্থায় রোজা রাখতে চান। গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের রোগীদের রোজা রাখার ব্যাপারে যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে—

রমজানের শুরুতেই ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

* রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কত রাখতে হবে, মা ও শিশুর ওপর ডায়াবেটিসের প্রভাব ইনসুলিন নেওয়ার কৌশল, রোজা কখন, কোন পরিস্থিতিতে ভাঙতে হবে সে ব্যাপারে জেনে নিতে হবে।

* উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন : মিষ্টি ফল, ফলের রস ইত্যাদি।

* আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে।

ফলের মধ্যে পেয়ারা, সবুজ আপেল, বরই খাওয়া যেতে পারে।

* ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীকে যথাসম্ভব দেরিতে সাহরি করতে হবে।

ইফতারের ২ ঘণ্টা আগে এবং ইফতারের ২ ঘণ্টা পর ব্লাড সুগার পরীক্ষা করতে হবে।

* ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা দিলে যেমন : মাথা ব্যথা হলে, বুক ধড়ফড় করলে এবং চোখে ঝাপসা দেখলে ব্লাড সুগার পরীক্ষা করতে হবে।

৩.৯ মিলি মোল/ লিটার কম এলে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে।

রোজা রেখে অতিরিক্ত পরিশ্রম করা যাবে না।

রোজা রাখা অবস্থায় যে সমস্যাগুলো হতে পারে—

১৩টি মুসলিম দেশের গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখলে তাঁদের কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন—

* হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা ডায়াবেটিস কমে যাওয়া

রমজানে গর্ভবতী নারীদের ব্লাড সুগার ভালো নিয়ন্ত্রণে থাকে বলে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে। গর্ভবতী নারীরা রোজা রাখলে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

 

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ

রিপ্রডাক্টিভ অ্যান্ডোক্রাইনোলজি ও ইনফার্টিলিটি বিভাগ

বিএসএমএমইউ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে