গর্ভাবস্থায় শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে ফল খাওয়া উপকারী।
তবে ফল খেতে হবে বুঝে শুনে। কেননা সব ফল এই সময় খাওয়া নিরাপদ নয়।
স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া যাবে ও যাবে না সে সম্পর্কে জানানো হল।
গর্ভাবস্থায় যে সকল ফল খাওয়া যাবে
কলা: গর্ভাবস্থার খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল কলা। এটা উচ্চ কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ এবং এই সময়ের প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদা পূরণ করে। কলা নারীদের জন্য খুবই উপকারী। রয়েছে হিমোগ্লোবিন যা রক্তস্বল্পতার মাত্রা কমায়। স্মুদি-সহ আরও নানা উপায়ে খাওয়া যায়।
অ্যালার্জি বা ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে কলা খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আপেল: সারা বছরই পাওয়া যায় আপেল। এটা আঁশ, পটাশিয়াম ও লৌহ সমৃদ্ধ যা শরীরে পুষ্টি উপাদান সরবারহ করে। আপেল কুচি ও কলা একসঙ্গে মিশিয়ে মজাদার ফলের সালাদ তৈরি করতে পারেন।
কমলা: কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যা গর্ভবতীদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। এটা স্বাস্থ্যপোকারী চর্বি ও ফোলায়েট সমৃদ্ধ ফল যা ভ্রূণের মস্তিষ্কের সুস্থ বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে।
তরমুজ: তরমুজ পুষ্টি উপাদন সমৃদ্ধ জলীয় ফল। এটা শরীর থেকে দূষিত উপাদান দূর করে ও শরীর আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এই ফল ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে। তবে তরমুজ অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়া পেট ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় যেসকল ফল খাওয়া যাবে না
পেঁপে: আধা কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে ল্যাটেক্স যা গর্ভপাতের জন্য দায়ী। এটা কেবল পাকস্থলীতে ব্যথাই সৃষ্টি করে না পাশাপাশি গর্ভের সন্তানেরও ক্ষতি করে। এই সময় পেঁপে না খাওয়াই ভালো। অন্যথায় তা ব্যথা ও গর্ভপাত ঘটাতে পারে।
আনারস: আনারস একটা টক মিষ্টি ফল। এতে থাকা ব্রোমেলাইন নামক উপাদান জরায়ুর পথকে কোমল করে যা প্রারম্ভিক ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে, আনারস খাওয়া গর্ভাবস্থায় ডায়ারিয়ারও কারণ হতে পারে।
আঙুর: গর্ভবতী নারীদের জন্য আঙুর খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বিশেষত শেষের তিন মাসে। এতে থাকা রেসভেরাট্রল নামক যৌগ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে। আঙুরে আছে তাপ উৎপাদনকারী উপাদান যা মা ও শিশু ক্ষতির কারণ হতে পারে।
হিমায়িত ফল: হিমায়িত ফলে সংরক্ষক ব্যবহার করে স্থায়ীত্ব বাড়ানো হয় এবং এটা কোনোভাবেই গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজ্য নয়। হিমায়িত ও ‘ক্যানজাত’ ফল তাজা নয় এবং এটা অনেক ক্ষেত্রে শিশুর জন্য বিষাক্ত হতে পারে। গর্ভবতী মায়ের তাজা ও মৌসুমী ফল খাওয়া সবচেয়ে ভালো উপায়।