গ্রেড উন্নয়নের দাবিতে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা

0
799

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন।

দাবি পূরণে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের আহ্বায়ক শেখ রবিউল আলম খোকন বলেন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারীদের এই কর্মবিরতির ফলে আগামী ৫ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনসহ দেশের এক লাখ ২০ হাজার আউটরিচে রুটিন টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ থাকবে।

নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৬তম থেকে যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩তম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি তোলা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে

রবিউল আলম খোকন বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ থেকে বসন্ত নির্মূল ও ম্যালেরিয়া রোগ নেই। ১৯৭৯ সালের ৭ এপ্রিল চালু করা হয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)।এ কর্মসূচির আওতায় দেশের এক লাখ ২০ হাজার আউটরিচ রুটিন টিকাদান কেন্দ্রের কর্মসূচি এককভাবে স্বাস্থ্য সহকারীদের উপর ন্যস্ত করা হয়।

“টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্য সহকারীগণ বর্তমানে ১০টি মারাত্মক সংক্রামিত রোগের (শিশুদের যক্ষা, পোলিও, ধনুষ্টংকার, হুপিংকাশি, ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া ও হামে-রুবেলা) টিকা প্রদান করেন। আমাদের স্বাস্থ্য সহকারীরাই ২০১৩ সালের ২৫ জানুয়ারি ৯ মাস থেকে ১৫ বছর কম বয়সের পাঁচ কোটি ২০ লাখ শিশুকে এক ডোজ হাম-রুবেলা টিকা সফলভাবে প্রদান করেন।”

তিনি আরও বলেন, “প্রজাতন্ত্রের পদোন্নতি বিধি অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী তিন থেকে সাত বছর পরপর পদোন্নতি পান। কিন্ত একজন স্বাস্থ্য সহকারী ২০ থেকে ২৫ বছরে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক হতে পারে না। যদিও পদোন্নতি পান তাহলে স্বাস্থ্য পরিদর্শক হতে কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত বছর অপেক্ষা করতে হয়। অনেকে এমন সময় পদোন্নতি পান, যখন চাকরির বয়স বাকি থাকে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় মাস। তবে পদোন্নতি হলেও বেতন বাড়ে না এক পয়সাও। উপরন্তু বদলি করা হয় অন্য জেলা বা উপজেলায়।

করোনাভাইরাস মহামারীতে স্বাস্থ্য সহকারীরে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার কথাও তুলে ধরেন রবিউল আলম।

তিনি বলেন, বিদেশ ফেরতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হোম কোয়ারান্টিনে থাকার বিষয়টি ফলোআপ করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরাই। এছাড়া জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগী শনাক্ত করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো এবং সন্দেহজনক রোগীর নমুনা সংগ্রহে সহযোগিতাও করেছেন তারা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে