রাস্তার ধুলাবালি, গাড়ির ধোঁয়া, রোদ্দুর সবই চুলকে বিবর্ণ ও রুক্ষ্ণ করে তোলে। ফ্রি রেডিকেলের সক্রিয়তার ফলে সময়ের আগে চুল পেকে যায়। চুল ভালো রাখতে ভিটামিনের পাশাপাশি জিঙ্কয়ের ভূমিকা আছে। ভিটামিন ই-যুক্ত তেল চুলে মাখলে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা যায়।
দিনে ৫০-১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে খুব বেশি চুল পড়ার কারণগুলো হলো- অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ, রক্তচাপ কমানোর ওষুধ, জন্ম নিরোধক বড়ি সেবন, অতিরিক্ত ভিটামিন ‘এ’ গ্রহণ ইত্যাদি।
এছাড়া অপুষ্টি, গর্ভাবস্থা, মেনোপোজ, অনিয়মিত ঋতুচক্র, জ্বর, থাইরয়েডের অসুখ, প্রোটিনের অভাব, রক্ত স্বল্পতা ইত্যাদিও চুল পড়ার কারণ। আবার খুব বেশি টেনে চুল বাঁধলে এবং ভিজা চুল আচড়ালেও চুল পড়ে যেতে পারে। ক্যানসারের রোগীদের কেমোথেরাপি দিলেও চুল পড়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় চুল পড়ে হরমোনের অসমতার জন্য। রক্ত জমাট বাধার ওষুধ, বিষণ্নতা দূর করার ওষুধ খেলেও চুল পড়তে পারে।
বড় কোনো অপারেশনের পরও চুল পড়তে পারে। আবার বংশগত কারণ, মানসিক উদ্বেগ ইত্যাদিতেও চুল পড়ে। ক্রমাগত প্রোটিন ও ভিটামিনের অভাব চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট করে। যেহেতু চুলের মধ্যে সিসটিন নামক এমাইনো এসিড থাকে, সে জন্য প্রতিদিন ডিম, দুধ, মাছ, মাংস খাওয়া উচিত। এতে ভিটামিন এ-ও পাওয়া সম্ভব। ভিটামিন সি চুলকে ভালো রাখে বলে প্রতিদিনই কিছু না কিছু সি ভিটামিন খাওয়া উচিত।
বিশেষ করে প্রতিদিন দুটি আমলকী খেতে পারলে ভালো হয়। পুষ্টিহীন শিশুদের চুলের রং ধূসর ও পাতলা হয়ে থাকে। এদের চুলের গোড়া ক্রমশ আলগা হয়ে যায়। খাদ্যে প্যান্টোথেনিক এসিডের অভাবেও চুলের ভীষণ ক্ষতি হয়। প্রাণীদেহের লিভার ও কিডনিতে প্যানটোথেনিক এসিড থাকে।