টিকা না পেলে বিকল্প পরিকল্পনা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

0
768

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সময়মতো কভিড-১৯ এর টিকা না পেলে অন্য পরিকল্পনা নেয়ার কথা বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার দুপুরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সম্প্রসারিত ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নিয়ে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ মাসের টিকা আমরা পাইনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিষয়টি জানিয়েছেন। কোভ্যাক্সের টিকা পেতে মে-জুন মাস সময় লাগবে। যে সংখ্যায় টিকা পাওয়ার কথা তা যদি আমরা পেয়ে যাই তাহলে আমাদের যে কার্যক্রম চলছে তা ব্যাহত হবে না। টিকা পেতে দেরি হলে আমাদের অন্য পরিকল্পনা করতে হবে।

তিনি বলেন, টিকার জন্য ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে সেখান থেকেও খুব শিগগিরই টিকা পাওয়া যাচ্ছে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকার অন্যান্য উৎস থেকেও টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেখান থেকে আশ্বাস পেলে সরকার ইতিবাচকভাবে তা গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। সেখান থেকে যদি কোনো আশ্বাস পাই তাহলেও আমরা পজিটিভলি এগিয়ে যাব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও চেষ্টা করছেন যাতে আমরা টিকা পাই এবং টিকা কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয়।

করোনার উৎস বন্ধ করতে না পারলে হাসপাতালের বেড বাড়িয়ে কোন লাভ হবে না বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

গত নভেম্বরে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে ওই টিকা তা সরবরাহের দায়িত্বে আছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।

চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। সে অনুযায়ী জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ দেশে এলেও বিপুল চাহিদা আর বিশ্বজুড়ে টিকার সরবরাহ সঙ্কটের মধ্যে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ হাতে পায়। এর বাইরে ভারত সরকার দুই দফায় সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মোট ৩২ লাখ ডোজ উপহার হিসেবে দিয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে এক কোটি ২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড টিকা।

তবে নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে ভারত টিকা রপ্তানি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।

টিকার প্রথম চালান হাতে পাওয়ার পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে গণ টিকাদান শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৫২ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। আগামী ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু করার কথা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে