বিশ্বের একজন শীর্ষ বিজ্ঞানী করোনা ভাইরাস এবং এর টিকা নিয়ে ভয়াবহ এক সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে কোভিড-১৯ এর সব টিকা বন্ধ করুন। না হলে সহসাই ‘অনিয়ন্ত্রিত এক দৈত্যের’ (আনকন্ট্রোল্যাবল মনস্টার) আবির্ভাব ঘটবে। এ সতর্কতা দিয়েছেন বিজ্ঞানী গার্ট ভ্যানডেন বোশ্। তিনি টিকা গবেষণা বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ। বিখ্যাত বিভিন্ন কোম্পানি এবং সংস্থায় টিকা আবিস্কার এবং প্রি-ক্লিনিক্যাল গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে রয়েছে জিএসকে, নোভারটিস, সোলভে বায়োলজিক্যাল এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। এ ছাড়া তিনি গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই- বা গাভি)-এ ইবোলা টিকা বিষয়ক কর্মসূচির সমন্বয়ক। তিনি বিখ্যাত ভাইরোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজিস্ট হিসেবে সার্টিফায়েড।
কমপক্ষে ৩০টি প্রকাশনা রয়েছে তার। এ ছাড়া রয়েছে বিপুল অর্জন। বর্তমানে তিনি নিরপেক্ষভাবে টিকা বিষয়ক একজন গবেষক। এসব খবর দিয়ে ‘এ ফাইনাল ওয়ার্নিং’ লিখেছে, তিনি বলেছেন, কোভিড-১৯ এর টিকা একটি ‘ব্রিলিয়ান্ট’ টিকা। এই টিকা কাজ করে একটি নির্দিষ্ট লেভেলে। গার্ট ভ্যানডেন বোশ্ েবলেন, এই টিকা একটি ভুল হাতিয়ার, যা বিশ্বজুড়ে মোতায়েন করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রচ- সংক্রামক প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে এটাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ৩রা মার্চ তিনি এক টুইটে লিখেছেন, করোনা মহামারির মধ্যে গণহারে যে টিকাদান কর্মসুচি চলছে তার প্রভাব নিয়ে আমি চরমভাবে উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে আমার বৈশ্বিক সতর্কতা এবং বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ পড়–ন। এ কথা বলেই তিনি একটি সাইটের লিঙ্ক দিয়েছেন। সেখানে একটি পিডিএফ ফাইল দেয়া আছে। তিনি নিজে সৃষ্টি করেছেন এমন একটি প্রেজেন্টেশনের স্লাইড রয়েছে এতে। এর শিরোনাম- ‘কেন মহামারির মধ্যে গণহারে কোভিড-১৯ এর টিকা ব্যবহার করা উচিত হবে না?’
ড. গার্ট ভ্যানডেন বোশ্ েএতে সতর্ক করেছেন যে, টিকাকে বিশ্বে ব্যাপক বিধ্বংসী এক জীবাণুঅস্ত্রে পরিণত করা হচ্ছে। এতে এক অনিয়ন্ত্রিত দৈত্যের সৃষ্টি করছে বিশ্ব। তার লেখায় তিনি বলেছেন, তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর একটি ভাইরাসকে ব্যাপক বিধ্বংসী জীবাণুঅস্ত্রে পরিণত করা হচ্ছে। এ অবস্থায় হয়তো কেউ একজন কার্যকারিতা নিয়ে এই পর্যায়ে উপনীত হওয়ার খুব কম পরিমাণ কৌশলের কথাই ভাবতে পারেন।
গার্ট ভ্যানডেন বোশ্ মনে করেন ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ, ক্লিনিকবিদ, বিজ্ঞানীরা স্বল্পকালীন একটি ফলাফলের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন। তারা বৈশ্বিক জনগোষ্ঠীর পরিণতির দিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, এটা খুব শিগগিরই প্রমাণিত হবে । প্রমাণিত হবে যে কিভাবে একটি ক্ষতিকর ভাইরাসকে একটি অনিয়ন্ত্রিত দৈত্যে পরিণত করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের ‘ইমিউন এসকেপ’ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। গার্ট ভ্যানডেন বোশ্ েবলেন, অধিক সংক্রমণযুক্ত বহু ভাইরাল ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব হচ্ছে। এরা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। চলমান টিকাদান কর্মসূচিতে উচ্চ মাত্রায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এড়িয়ে যাবে এসব ভ্যারিয়েন্ট। এ ঘটনায় নতুন ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিরোধ করতে পারবে না বর্তমানের কোন টিকাই। এ অবস্থায় আমরা মহামারির মধ্যে যতই মানুকে টিকা দিই ততই ভাইরাস আরো বেশি সংক্রামক হয়ে উঠবে। এসব ভ্যারিয়েন্ট টিকার বিরুদ্ধে কাজ করে। তিনি দাবি করেন তার শিক্ষার্থীদের টিকা বিষয়ক ক্লাসে যে প্রাথমিক মূলনীতি শিক্ষা দিয়ে থাকেন তা হলো- যখন জনগণের মধ্যে কোনো ভাইরাস ভয়াবহ আকারে সংক্রমণ দেখা দেয় তখন সে ক্ষেত্রে কারো টিকা নেয়া উচিত হবে না। এ অবস্থায় টিকা দেয়া হলে রূপান্তরযোগ্য ভাইরাস নতুন আরেকরূপে পরিবর্তন হবে।