টিকা পেতে এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ মানুষ। টিকার প্রথম ডোজ হিসেবে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর দুদিন পর শুরু হবে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি। অথচ এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছে খুব অল্পসংখ্যক মানুষ।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম বলেন, টিকার জন্য নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। ৫ ফেব্রুয়ারির পরও নিবন্ধন কাজ চলমান থাকবে। এছাড়াও সারা দেশের গ্রামগঞ্জে ভ্যাকসিন নিবন্ধনের জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। আমরা জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি তাদের এলাকার মানুষকে টিকা নিতে উৎসাহিত করতে এবং নিবন্ধনে সহযোগিতা করতে। সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন ও সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। টিকা কর্মসূচির প্রস্তুতিমূলক সভায় বিভিন্ন হাসপাতালে পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। দিনে ২ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী টিকা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এপ্রিলের মধ্যে প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া শেষ করতে হবে। না হলে এর কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। তাই টিকা নিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যাপকভাবে প্রচার চালাতে হবে। অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম বলেন, আমরা মিটিং করে সব জেলার ডিসি, এসপিদের বলেছি রেজিস্ট্রেশন করতে। আমরা আশা করছি আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলবে। এ রেজিস্ট্রেশনগুলো অফিসভিত্তিক। সাধারণত অফিসগুলো দলবেঁধে রেজিস্ট্রেশন করছে। এসব রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে একটা বড় অংশের রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পেতে সুরক্ষা অ্যাপে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হচ্ছে। প্রথম মাসে ১৫টি পেশার প্রায় ২৭ লাখ সম্মুখসারির কর্মী ও ৭৭ বছরের বেশি বয়সী মানুষসহ ৬০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের। ভ্যাকসিন নিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে মন্ত্রী, এমপি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গত মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা ছাড়া করোনাভাইরাস দেশ থেকে একেবারে নির্মূল করা যাবে না। টিকা নিলে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। এটি পৃথিবীর অন্যতম নিরাপদ টিকা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সিনিয়র কলিগ যারা মন্ত্রী, এমপি রয়েছেন তাদের আহ্বান করব টিকা নিবেন একযোগে। স্থানীয় প্রতিনিধিদের আহ্বান করব টিকা নিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা আছে তাদের আহ্বান করব জেলা-উপজেলায় এসে টিকা নিতে। মানুষ কেন্দ্রে এসেও টিকা পেতে নিবন্ধন করতে পারবেন। সবাই টিকা নেন, দেশকে নিরাপদ রাখুন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিকল্পনা রয়েছে, একটি কেন্দ্রে দৈনিক ১০০-১৫০ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হবে।